শরীয়তপুরে জমে উঠেছে ঈদবাজার

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রীয়তপুর প্রতিনিধি

ঈদুল ফিতরকে ঘিরে জমে উঠেছে শরীয়তপুরের ঈদবাজার। ক্রেতা-বিক্রেতারা ঈদ উপলক্ষ্যে নতুন পোশাক কেনাবেচায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ব্যবসায়ীদের আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বিদেশি পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের দেশীয় পোশাকের দিকেই নজর। তবে তরুণ-তরুণীদের ক্ষেত্রে চিত্র ভিন্ন। তারা দেশি-বিদেশি উভয় পোশাকেই আকৃষ্ট। ঈদ বাজার স্বাভাবিক রাখতে শরীয়তপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে যাচ্ছেন। মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদেরও উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিভিন্ন বয়সের ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে পোশাকের দোকান, জুতাণ্ড স্যান্ডেলের দোকানসহ কসমেটিকসের দোকানগুলো। নিজেদের পছন্দের জিনিসটি কিনতে তারা চষে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন মার্কেট।

জেলা সদরের সৌদিয়ান মার্কেট, ডুবাই প্লাজা, স্পেন প্লাজা, ইটালি প্লাজাসহ বিভিন্ন ছোট-বড় মার্কেটে ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের পছন্দের পোশাক, কসমেটিকস, জুতাণ্ডস্যান্ডেলের দোকানই বেশি জমজমাট। জেলা সদর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলাগুলোতেও ক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম ঈদ বাজার। শরীয়তপুর পালং বাজারের পোশাক বিক্রেতা জয়নাল আবেদিন খান বলেন, ডলারের ডাম বেশি হওয়ায় বিদেশি পোশাকের আমদানি খরচ ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় আমাদেরও গত বছরের তুলনায় বেশি দামে কিনতে হয়েছে। তাই তুলনামূলক এবার ক্রেতার সংখ্যা না কমলেও বিক্রির পরিমাণ কিছুটা কম। তবে আগামী কয়েকদিন বেচাকেনা আরো বাড়বে। মসলিন শাড়ি গুণগত মান ভেদে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৮ হাজার, টাঙ্গাইল শাড়ি ১ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার, জামদানি ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৮ হাজার, ভারতীয় থ্রি-পিছ বিপুল ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ ও কাশ্মীরি লেহেঙ্গা ৪ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করছি। একই বাজারের কসমেটিকস ব্যবসায়ী শহীদ খান জানান, এবছর কসমেটিকস আমদানি খরচ ক্ষেত্র বিশেষে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় কসমেটিকস ক্রেতারা একটু কমই কিনছেন। তবে ঈদের আগ মুহূর্তে বেচাকেনা বাড়বে।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদ বলেন, ঈদ বাজারকে স্বাভাবিক রাখতে আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিংসহ প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তর, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ঈদ উৎসবের সাধারণ মানুষের কেনাকাটা নির্বিঘ্ন ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছেন। বাজার স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের পরার্শ প্রদানসহ সতর্কও করা হচ্ছে।