কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানার সংগ্রামপুর গ্রামের ঈদগাহ সংলগ্ন ভুট্টা ক্ষেতে ভিকটিম খেজের আলীর ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। পিবিআই’র তদন্তে বেরিয়ে এসেছে তার একমাত্র পুত্র আনোয়ার হোসেন ওরফে আনারুল নৃশংসভাবে কোদালের আঘাতে হত্যা করে পিতার লাশ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে যায়। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর নিহত খেজের আলীর ভাই নাজির আলী বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করে। থানার মামলা নং-১৪। থানা পুলিশ এই হত্যার কোনো কূলকিনারা না পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে তদন্তের জন্য মামলাটি পিবিআইকে হস্তান্তর করে। অ্যাডিশনাল আইজিপি বনজ কুমার মজুমদারের তত্ত্বাবধান ও দিকনির্দেশনায় পিবিআই কুষ্টিয়া জেলার ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার শহীদ আবু সরোয়ারের সার্বিক সহযোগিতায় পিবিআই কুষ্টিয়ার একটি চৌকস দল মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামে। তদন্তের সকল কলাকৌশল অবলম্বন করে জানা যায়, ঘটনার সঙ্গে বৃদ্ধ খেজের আলীর ছেলে আনোয়ার জড়িত। গত শনিবার রাতে পিবিআই কুষ্টিয়া জেলার ইউনিটের একটি চৌকস দল সংগ্রামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যার সাথে জড়িত পুত্র আনোয়ার হোসেন ওরফে আনারুলকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল সকালে পিবিআই কুষ্টিয়া জেলা ইউনিট কার্যালয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআই কুষ্টিয়া জেলার ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার শহীদ আবু সরোয়ার। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও টানা জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আনোয়ার স্বীকার করে যে, সে তার পিতাকে রাতের আঁধারে কিছু গোপন কথা বলার জন্য কবরস্থান সংলগ্ন মামলার ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে পেছন থেকে সজোরে কোদাল দিয়ে ভিকটিমের মাথায় একাধিক আঘাত করে। এতে মাথার মগজ ছিন্নভিন্নœ হয়ে যায়। ভিকটিম পড়ে গেলে আঘাত করে বুকের হাড় ভেঙে ফেলে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করে।