চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গতকাল বিকেল ৩টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের মধ্যে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।
তীব্র রোদ আর গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। রোজা রেখে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। কষ্ট হচ্ছে বলছেন রোজাদাররা। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত রোববার ভোরে এ জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হয়। তারপরও তাপমাত্রা কমেনি। ক্রমেই তাপমাত্রার পারদ ওপরে উঠছে। গতকাল দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরে বিকেল ৩টায় তা আরো বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্থিতি এমনই থাকবে। এর মাঝে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আপাতত বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখীর বিষয়ে আগে থেকে বোঝা যায় না। দু-এক ঘণ্টা আগে ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। এদিকে, বাইরে রোদের তীব্র তাপ ও অসহ্য গরমে মানুষ এক প্রকার গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। বাইরে না বেরিয়ে ঘরে অবস্থান করে ফ্যানের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ।
তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে নিম্নআয়ের দিনমজুর ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের ক্ষেত্রে। তারা এ তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বাইরে অবস্থান করছেন। চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশাচালক আব্দুল ওহাব বলেন, ‘কী আর বলবো! এই রোদণ্ডগরমে রোজা থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে। আবার বসেও থাকতে পারছি না। বসে থাকলে পেটে ভাত জুটবে না।’ চুয়াডাঙ্গা আন্তঃজেলা চলাচলকারী একটি বাসের চালক বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘এই গরমে মানুষ খুব একটা বাইরে বের হচ্ছে না। তাই যাত্রীও খুব একটা নেই। অন্যদিনের তুলনায় কম যাত্রী নিয়ে ট্রিপে যেতে হচ্ছে।’