ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেশবপুরে চার মাস খুঁড়ে রাখা হয়েছে রাস্তা

জনদুর্ভোগ চরমে
কেশবপুরে চার মাস খুঁড়ে রাখা হয়েছে রাস্তা

যশোরের কেশবপুরে চার মাস ধরে দশ গ্রামের মানুষের যাতায়াতে ব্যবহৃত একটি মাটির রাস্তা পাকাকরণ করতে খুঁড়ে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে খুঁড়ে রাখা ওই সড়ক। সড়কের এ কাজে ধীরগতির কারণে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর সড়ক পাকাকরণের কাজ সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে ঠিকাদার সূত্রে জানা গেছে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজারো মানুষের ভেতর তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের নুড়িতলা-গড়ভাঙ্গা সড়কের ইশরাত আলী মাস্টারের বাড়ি হতে গড়ভাঙ্গা বাজার পর্যন্ত ৮৬০ মিটার মাটির রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ শুরু হয়। কাজটি যশোরের বনান্তর ট্রেডিং নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করছে। এপ্রিল মাসে নতুন এ সড়কের কাজসম্পন্নের কথা রয়েছে। তবে শুরু থেকেই এ কাজে রয়েছে চরম ধীরগতি। সড়কটি চার মাস ধরে খুঁড়ে (বক্স কাটিং) রেখে বর্তমানে বালু ফেলার কাজ চলছে। সম্প্রতি বৃষ্টি হওয়ায় জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে খুঁড়ে রাখা ওই সড়ক। সড়কের এ কাজে ধীরগতির কারণে উপজেলার বেলকাটি, সাগদত্তকাটি, পাঁচবাকাবর্শী, গড়ভাঙ্গা, ইমাননগর, মুজগুন্নিসহ ১০ গ্রামের হাজারো মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। সড়ক দিয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থী রনি হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন রাস্তা খুঁড়ে রাখার কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সড়কের কাজ চলছে খুবই ধীর গতিতে। ওই সড়কের পানি সেচ দেওয়ার সময় বেলকাটি গ্রামের জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মশিয়ার রহমান বলেন, বৃষ্টি হলেই খুঁড়ে রাখা রাস্তায় পানি জমে যায়। এলাকাবাসীর যাতায়াতের জন্য জলাবদ্ধ পানি সেচ দিয়ে চলাচল উপযোগী করে তোলা হয়। পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রফিকুল ইসলাম বুলু বলেন, ‘গতবছর ডিসেম্বর মাসে রাস্তাটি পিচ দিয়ে পাকাকরণের জন্য খুঁড়ে রাখা হয়। এই সময়ের মধ্যে ওই রাস্তা দিয়ে ১০ গ্রামের হাজারো মানুষ ঠিকভাবে যাতায়াত করতে পারছে না। ঠিকাদারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। বৃষ্টি হলেই রাস্তার কয়েক জায়গায় হাটুপানি হয়। এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকেও জানিয়েছি’। সড়কের কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বনান্তর ট্রেডিংয়ের ম্যানেজার মুকুল হোসেন বলেন, ‘হঠাৎ কোনো মাটির রাস্তা পিচ (পাকাকরণ) করতে হলে একটু সময় দিতে হয়। তবে রাস্তাটি খোঁড়ার পর বালু দিতে দেরি হওয়ায় একটু বেশি সময় লেগে গেছে। গতকাল বালু ফেলানোর কাজ শেষ হলেই পর্যায়ক্রমে রাস্তাটি পাকাকরণ করতে অন্যান্য কাজ করা হবে’। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর এ রাস্তাটি পাকাকরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সময় বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। আগামী দুই মাসের ভেতর রাস্তাটির কাজসম্পন্ন করা হবে’।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সায়ফুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘ওই সড়ক পাকাকরণের কাজ শুরুর তারিখ ছিল ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর। এপ্রিল মাসের ভেতর কাজ সম্পন্নের কথা রয়েছে। বালু ফেলতে দেরি হওয়ায় কাজে ধীরগতি হয়েছে। বর্তমানে ওই সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। কাজ দ্রুত করতে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত