বরগুনার তালতলী উপজেলায় মো. নুর হোসেন নামে এক কৃষকের বিরুদ্ধে মুগ ডাল খেতে প্রয়োগ করা বিষ মেশানো চাল খেয়ে অর্ধশতাধিক কবুতর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল উপজেলার নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুল বাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত কৃষক মো. নুর হোসেন একই এলাকার তেঁতুল বাড়িয়া গ্রামের আনছার হাওলাদারের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুল বাড়িয়া গ্রামে মুগ ডাল খেতে বিষ মেশানো চাল প্রয়োগ করেন কৃষক নুর হোসেন। এতে ওই গ্রামের তিন কবুতর খামারির ৫৪টি কবুতর মারা যায়। স্থানীয় কবুতর খামারি হারুন মিয়া বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত আমার ১৭টি কবুতর মারা গেছে। মারা যাওয়া অনেক কবুতরের ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। এখন এই বাচ্চা কবুতরগুলো ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে। আমি অনেক লোকসানে পরে গেলাম। নুর হোসেনের মুগ ডাল খেতের বিষ মেশানো চাল খেয়ে এসব কবুতরের মৃত্যু হয়েছে।
খেতে বিষ দেওয়ার বিষয়টি আগে আমাদের জানালে আমরা কবুতর আটকে রাখতাম। তিনি আরো বলেন, এছাড়া আমার গত ১ এক সপ্তাহে মোট ৭০টি কবুতর ডাল খেতে বিষ প্রয়োগের কারণে মারা যায়। স্থানীয় অপর কবুতর খামারি খলিল হাওলাদার বলেন, আমার খামারের ২৮টি কবুতর মারা গেছে।
মারা যাওয়া এসব কবুতরের ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। এখন বাচ্চাগুলো মারা যাচ্ছে। এতে আমি লোকসানে পড়ে গেছি। একই কথা জানিয়েছেন খামারি লিটন হাওলাদার, তার ৯টি কবুতর মারা গেছে। এছাড়াও ঘুঘু ও শালিকসহ বিভিন্ন পাখিরও মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মো. নুর হোসেন খেতে বিষ প্রয়োগের সব অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং তিনিও কবুতর পালন করেন বলে জানান। স্থানীয় ইউপি সদস্য লতিফ নান্টু বলেন, খেতে বিষ প্রয়োগের কারণে কবুতর মারা যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। আমি একটু পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত বলতে পারব। তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমান বলেন, ডাল খেতে বিষ প্রয়োগের কারণে বন্য পাখির ও কবুতর মারা যাওয়ার ঘটনা শুনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
