ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেশবপুরে জমজমাট ঈদের বাজার

কেনাকাটায় নারীদের উপচেপড়া ভিড়
কেশবপুরে জমজমাট ঈদের বাজার

চলতি রমজান মাসের বাকি আছে আর অল্প কিছুদিন। এর পরই পালিত হবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। তার প্রস্তুতি নিতে এখন থেকেই কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সারাদেশের মানুষ। তেমনি যশোরের কেশবপুরে ঈদের বাজারে কেনাকাটা জমজমাট হয়ে উঠেছে। ঈদ কেনাকাটায় পুরুষের পাশাপাশি নারীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। কসমেটিক্স, শিশুদের কাপড় ও জুতার দোকানে ক্রেতাদের চাহিদা বেশি। পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকের যাত্রা শুরু হয়েছে। আর কিছু দিন বাদেই পবিত্র ঈদুল ফিতর।

চাকরিজীবিদের হাতে মাসিক বেতন ও ঈদের নিয়মিত বোনাসের কারণে কেশবপুর পৌর শহরে বিভিন্ন বিপণন কেন্দ্রে গতকাল মঙ্গলবার প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পুরুষরাসহ পরিবারের গৃহিণী-নারীরা তাদের শিশুদের নিয়ে ঈদ কেনাকাটায় ব্যাস্ত সময়ে পার করছেন। পবিত্র মাহে রমজানে ঈদের আনন্দ কেনাকাটায় তাদের কোনো ক্লান্ত নেই। কেশবপুর মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত সড়কে করিম মার্কেটে ফ্যাশন জোন গার্মেন্টসের মালিক হোসনেয়ারা খাতুন বলেন, এবারের ঈদে নারী ও শিশুদের কাপড়ের চাহিদা বেশি। পাশাপাশি পুরুষদেরও কাপড় বিক্রি হচ্ছে। তবে নারী ক্রেতাদের ভিড় বেশি। আলিম সু স্টোরের মালিক আলতাফ হোসেন বলেন, এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতর হলো নারী ও শিশুদের। পুরুষের জন্যও বেচাকেনা হচ্ছে। শিশুদের জুতাণ্ডসেন্ডেল বেশি বিক্রি হচ্ছে। কেশবপুর পৌর শহরে হাজী আব্দুল মোতালেব মহিলা কলেজের সামনে অস্থায়ী কসমেটিক্সের দোকান মালিক আমজাদ হোসেন বলেন, এবছর পবিত্র ঈদুল ফিতরের কেনাকাটা আগেভাগে শুরু হয়েছে। তার দোকানে প্রচুর বেচা-বিক্রি হচ্ছে। মধু সড়কের সবচেয়ে বড়ো কসমেটিক্সের দোকান ভাই ভাই স্টোরে নারী ও শিশুদের প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতার ভিড় সামাল দিতে বেশির ভাগ ব্যবসায়ীরা এক দরে বেচা-বিক্রি করছেন। এদিকে সবচেয়ে কেশবপুর নিস্কন মার্কেটে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মানুষের কেনাকাটা দেখে মনে হয় সব পণ্যের মূল্য যেন মানুষের হাতের নাগালে। পণ্যের মূল্য নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের জন্য পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করতেই হবে বলে জানালেন পৌর শহরের গৃহিণী কোহিনূর পারভীন। বাগদহ গ্রাম থেকে আসা এক গৃহবধূ শাহনাজ পারভীন বলেন, এবারের ঈদে পরিবারের সবার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছু কেনা হয়েছে। তবে এবারের ঈদের আনন্দের প্রভাব শহরের চেয়ে গ্রামে দেখা দিয়েছে বেশি। উপজেলার মধ্যকুল মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ কফিল উদ্দিন বলেন, এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে শিক্ষকসহ সব চাকরিজীবি তাদের বেতন-বোনাস নিয়মিত পাওয়ার কারণে ঈদের আনন্দ পরিপূর্ণ হয়েছে। কেশবপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ঈদের কেনাকাটার ভিড় ও ক্রেতা সাধারণের টাকা পয়সা ও মালামালের নিরাপত্তার জন্য থানা পুলিশের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আগে ভাগে অনুরোধ করা হয়েছে। কেশবপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম মোড়ল বলেন, শহরে এবারের ঈদ কেনাকাটায় প্রচুর ভিড় দেখা গেছে। যার কারণে নিরাপত্তার জন্য থানা পুলিশের পাশাপাশি পৌরসভায় কর্মরত ট্রাফিকরাও তাদের দায়িত্ব পালন করে চলেছে।

চাঁদাবাজ, চুরি ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল আলম বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের কেনাকাটার ভিড়ে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, চুরি ও ছিনতাই রোধ করতে শহরের ভেতরে বিভিন্ন স্থান ও প্রধান প্রধান সড়কে পুলিশের ভ্রাম্যমাণ টিম মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে অপরাধীদের ছাড় দেয়া হবে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত