ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাতীয় গ্রেড থেকে বরাদ্দ নেমেছে অর্ধেকে

তিতাসে বেড়েছে লোডশেডিং

তিতাসে বেড়েছে লোডশেডিং

কুমিল্লার তিতাসে বিদ্যুতের চাহিদা জাতীয় গ্রেড থেকে বরাদ্দ নেমেছে অর্ধেকে। তাই লোডশেডিংয়ের মাত্রা চরম আকার ধারণ করেছে। রাত-দিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রাহক বিদ্যুৎ পাচ্ছেন মাত্র ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। এই অবস্থায় ফেসবুকে বইছে সমালোচনার ঝড়। লোডশেডিং নিয়ে যে যার মতো আপলোড দিচ্ছেন। আর সেগুলোতে নেটিজেনরা শেয়ার ও কমেন্স করে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন। ফেসবুক নেটিজেনদের মধ্যে গিয়াস উদ্দিন আপলোড দিয়েছেন ‘তিতাসে অতিরিক্ত লোডশেডিং চলতেছে। সারাদিন তো বিদ্যুৎ থাকে না, তার মাঝে তারাবি, সেহেরি, ইফতারের সময়ও বিদ্যুৎ থাকে না। কিন্তু ২ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল ৪ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে’। একই পোষ্ট আপলোড করেছে ইমন হোসাইন। মোস্তফা কামাল লিখেছেন ‘পল্লী বিদ্যুতের লোকজনের হঠাৎ বিসিএস প্রিপারেশনের কথা মনে হলো। তাই স্মরণ করিয়ে দিলো যে এপ্রিল বাংলাদেশের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস’। আরেক নেটিজেন মো. রণক লিখেছেন ‘তিতাসে বিদ্যুতের লোডশেডিং চরম পর্যায়ের বিপর্যস্ত’। তিনি স্থানীয় এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাবু জিমল হাসান বিদ্যুৎ সংক্রান্ত পোস্টে লিখেছেন ‘পবিত্র রমজান মাসে জনগণ এই দুর্ভোগ আশা করে না, এমপি এর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি’। হালিম সৈকত লিখেছেন ‘তিতাসে এই রমজান মাসে পল্লীবিদ্যুৎ আসা যাওয়ার খেলায় মেতে আছে। সাহরি ও ইফতারে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না।’ হৃদয় খান আপলোড দিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাম-গঞ্জের মানুষের জন্য একটা অভিশাপের নাম। মানুষ বিরক্ত হয়ে গেছে নামাজের সময়ও কারেন্ট থাকে না।’ মোহাম্মদ ইব্রাহিম লিখেছেন ‘আজ মমতাজ আপায় নাই বলে বিদ্যুতের এই বেহাল অবস্থা’। মোহাম্মদ আলতাফ তার টাইমলাইনে লিখেছেন ‘এরই নাম উন্নয়ন। এই রমজান-এ জনগণের ভোগান্তি। বিদ্যুৎ নেই। মানুষ ঘুমাতে পারছে না’। রফিকুল ইসলাম আপলোড দিয়েছেন ‘বিদ্যুৎবিহীন তিতাস-দাউদকান্দি গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ’। রমজান হোসাইন লিখেছেন ‘এটা শুধু লোডশেডিং না। দেশের অনুজ্বল ভবিষ্যতের চর্চা চলছে। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ তিতাস জোনাল অফিসের এজিএম ওসমান ফারুক জানান, তিতাসে মোট চাহিদা আছে ৭/৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এখন আমরা জাতীয় গ্রেড থেকে দিনে সাড়ে তিন এবং রাতে সাড়ে চার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি। তাই ১ ঘণ্টা পর পর লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। ফেসবুকে তারাবি, সাহরি ও ইফতারের সময় লোডশেডিং নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছে, তা ঠিক না। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি এই তিনটি সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত