কুমিল্লা বিসিকের মুড়ি কারখানায় ব্যস্ততা বেড়েছে

প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

রমজান মাস উপলক্ষ্যে ব্যস্ত দিন কাটছে কুমিল্লা বিসিকের মুড়ি কারখানাগুলোর মালিক-শ্রমিকদের। প্রচণ্ড গরমেও শ্রমিকরা মুড়ি ভাজায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ চাল গরম করছেন। কেউ তা মেশিনে দিচ্ছেন। সেখান থেকে মুড়ি বের হলে কয়েকজন বস্তায় ভরছেন। কেউ দরদাম করে বিক্রি করছেন। কয়েকজন ট্রাকে মুড়ি তুলে দিচ্ছেন। রমজানে এমন ব্যস্ততায় দিন কাটে মুড়ি কারখানাগুলোর মালিক-শ্রমিকদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কুমিল্লা বিসিকের মুড়ি চট্টগ্রাম, বৃহত্তর কুমিল্লাসহ দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। বিসিকে বিসমিল্লাহ মুড়ি মিল, ইফতি ফুড, বেঙ্গল ফুডসহ ছয়টি কারখানায় মুড়ি উৎপাদন হয়। মালিকদের দাবি, গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রেখে মুড়ি ভাজায় এর সুনাম ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। সরেজমিন মুড়ি মিলে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে বেশ গরম। তার মধ্যে জ্বলছে গ্যাসের চুলা। তাতে চাল গরম করা হচ্ছে। গরম চাল মেশিনে ফেলার পর বেরিয়ে আসছে শুভ্র মুড়ি। রাতদিন মেশিনের গড়গড় শব্দে মুখর চারপাশ। এখানে প্রধানত আছিয়া মুড়ি, গিগজ মুড়ি ও স্বর্ণা মুড়ি ভাজা হয়। আছিয়া ৭০, স্বর্ণা ৬৫ আর গিগজ ১৪০ টাকা কেজি পাইকারি বিক্রি হয়। রমজান উপলক্ষ্যে এ কারখানায় প্রতিদিন প্রায় ১৫ টন মুড়ি উৎপাদন হয়। কয়েক বছর আগে ছিল ২০-৩০ টন। শ্রমিকরা জানান, গিগজ মুড়ি সাধারণত হাতে ভাজা হয়। কারখানায় সে মুড়ি সময় নিয়ে ভাজা হচ্ছে। যাতে হাতে ভাজা মুড়ির স্বাদ পাওয়া যায়। নগরীর রাজগঞ্জে মুড়ি কিনতে আসা কোরবান আলী জানান, রমজান উপলক্ষ্যে প্রতি বছরই বিসিকের মুড়ি ক্রয় করি। কারণ কুমিল্লা বিসিকের মুড়ি কারখানাগুলোতে কোনও সার বা রাসায়সিক দ্রব্য ব্যবহার করে না। যতটুকু জানি চালে শুধু লবণ মিশিয়ে মুড়ি তৈরি করা হয়,তা খেতেও সু-স্বাদু। বিসিকের বিসমিল্লাহ মুড়ি মিলের স্বত্বাধিকারী মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া মাহফুজ জানান, আমরা মুড়িতে কোনও সার বা রাসায়সিক দ্রব্য ব্যবহার করি না। চালে আমরা শুধু লবণ মিশিয়ে মুড়ি তৈরি করে থাকি। তাই খেতেও সুস্বাদু। আমরাও এখন মুড়ি বিদেশে রপ্তানি করছি। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কুমিল্লার ডিজিএম মো. মুনতাসীর মামুন বলেন, কুমিল্লা বিসিকে উৎপাদিত মুড়ি মানসম্মত। এর সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে।