৫ দিনের ছুটির কবলে বেনাপোল বন্দর

প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বেনাপোল প্রতিনিধি

ঈদ, বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল স্থলবন্দর পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে; তবে স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল। গতকাল বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি কামরুজ্জামান বিশ্বাস এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঈদের আগে ৭ এপ্রিল (রোববার) শবেকদরের ছুটি রয়েছে। শবেকদরের ছুটির পর ৮ ও ৯ এপ্রিল (সোম ও মঙ্গলবার) অফিস খোলা থাকবে। ওসি কামরুজ্জামান বলেন, পাঁচ দিনের ছুটির মধ্যে আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে। বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘এবার ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের তারিখ ধরে ১০ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল ঈদের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরের দুই দিন ১৩ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি ও ১৪ এপ্রিল নববর্ষের ছুটি।’ তবে আগামী ১৫ এপ্রিল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আগের নিয়মে চলবে বলে জানান তিনি। বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (সিঅ্যান্ডএফ) সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, ঈদের আগে ৭ এপ্রিল শবেকদরের ছুটি রয়েছে। শবেকদরের ছুটির পর ৮ ও ৯ এপ্রিল অফিস খোলা। এ দুদিন অফিস খোলা থাকলেও তেমন কোনো কাজ হবে না। সরকার ঈদের তিন দিন আগে-পরে ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ রাখায় বন্দর থেকে কোনো পণ্য খালাসও হবে না। তবে ৮ ও ৯ এপ্রিল শুধু আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলতে পারে বলে তিনি মনে করেন সিঅ্যান্ডএফের সাধারণ সম্পাদক। এদিকে টানা ছুটির কারণে সীমান্তের দুই পাশে ট্রাকের জট আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বেনাপোলের মতোই ভারতের পেট্রাপোলেও পণ্যবাহী ট্রাকের জট রয়েছে বলে জানান ওই বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি কার্তিক চক্রবর্তী। বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, প্রতিদিন পেট্রাপোল বন্দর থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে তিন থেকে সাড়ে তিনশ’ ট্রাক আসে বেনাপোল বন্দরে। আর বেনাপোল দিয়ে দেড়শ’ থেকে আড়াইশ’ ট্রাক পণ্য যায় ভারতে। দেশের ৭৫ ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে। ৮ ও ৯ এপ্রিল বন্দর খোলা থাকবে। এ সময় কেউ চাইলে অবশ্যই পণ্য ডেলিভারি দেওয়া হবে। তবে ঈদের আগে-পরে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় কেউ পণ্য নেবে বলে মনে হয় না।