বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ৫৬ হাজার পরিবার পাচ্ছে ঈদ উপহার

প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ৫৬ হাজার ১৮৭ জন গরিব অসহায় পরিবার পাবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ?্য সহায়তা। সুবিধাভোগীদের অনুকূলে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৫৬১ দশমিক ৮৭০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ভিজিএফ (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) এর মাধ?্যমে প্রতে?্যক উপকারভোগী পরিবার ১০ কেজি করে চাল পাচ্ছে। যা আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে বিতরণ কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশনা আছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: শাহিনুর আলম। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক গতকাল সকালে উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের উপকারভোগীর মাঝে চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জয়মনিরহাট ইউপি চেয়ারম?্যান আব্দুল ওয়াদুদ ট?্যাগ অফিসার ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রায়হান হকসহ ইউপি সদস?্যবৃন্দ। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের দুর্যোগ ব?্যবস্থাপনা শাখা সূত্রে জানা গেছে, সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন?্য ১ হাজারটিসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে পাথরডুবি ইউনিয়নে ৫ হাজার ২৪৫টি, শিলখুড়ি ইউনিয়নে ৫ হাজার ৩৪৫টি, তিলাই ইউনিয়নে ৩ হাজার ৮৩০টি, পাইকেরছড়া ইউনিয়নে ৫ হাজার ৮৪৫টি, ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নে ১১ হাজার ২৩০টি, জয়মনিরহাট ইউনিয়নে ৩ হাজার ৯৬৮টি, আন্ধারিঝাড় ইউনিয়নে ৫ হাজার ৪৪৫টি, বলদিয়া ইউনিয়নে ৫ হাজার ৭৪৫টি, চর-ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নে ৩ হাজার ৭৮৫টি ও বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নে ৪ হাজার ৭৫৯টি কার্ডসহ মোট ৫৬ হাজার ১৮৭টি অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে মোট ৫৬১ দশমিক ৮৭০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম বলেন, ১০টি ইউনিয়নের সুবিধা ভোগীদের তালিকা হাতে পেয়েছি। ওই বরাদ্দকৃত চাল এরইমধ্যে উত্তোলন করে বিতরণ শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস বলেন, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৫৬ হাজার ১৮৭ জন অসহায় পরিবারের বিপরীতে ৫৬৩ দশমিক ৩৫০ মে:টন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম?্যানদের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতে?্যক পরিবার ১০ কেজি করে চাল পাচ্ছে। চাল বিতরণে কোনো অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনুনাগ ব?্যবস্থা নেয়া হবে। তাই চাল বিতরণ কার্যক্রম আমরা মনিটরিং করছি। আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে সংশ্লিষ্ট ট?্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে চাল বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে বলে আশা করছি।