দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সিংড়া জাতীয় উদ্যানে দেশের একমাত্র শকুন উদ্ধার ও পরিচর্য কেন্দ্র থেকে এসব শকুন অবমুক্ত করা হয়। গতকাল বেলা ১১টায় দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব শকুন অবমুক্ত করেন। এছাড়া সেখানে উপস্থিত ছিলেন আইইউসিএন দুজন প্রতিনিধি। শকুন অবমুক্ত করার সেই দৃশ্য দেখতে ভিড় করেন আশপাশের এলাকার মানুষ। চার মাস আগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে অসুস্থ ও মৃতপ্রায় শকুনগুলোকে নিয়ে আসা হয় বীরগঞ্জ উপজেলার সিংড়া জাতীয় উদ্যানে। কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, আবর্জনা ও মৃত প্রাণী খেয়ে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত রাখায় শকুনকে বলা হয় প্রকৃতির ঝাড়ুদার। তবে বিভিন্ন কারণে বর্তমানে বাংলাদেশে এদের দেখা মেলে না। বেশিরভাগ শকুনের বাস হিমালয়ের দেশে। সেখানে খাদ্যের অভাব দেখা দিলে এবং বিশেষ করে শীতের সময়ে ঠান্ডার সাথে লড়তে না পেরে উড়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় চলে আসে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসার ফলে অনেক শকুনই অসুস্থ হয়ে লোকালয়ে পড়ে যায়। এ সময় অনেকেই ধরে বন বিভাগকে খবর দেয়। বন বিভাগ সেসব শকুনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সুস্থগুলো মুক্ত করে দেওয়া হয়। যেসব শকুনের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, তাদেরকে রাখা হয় শালবনে শকুন চিকিৎসা ও পরিচর্যা কেন্দ্রে। আইইউসিএন এর সিনিয়র প্রোগ্রাম সহকারী কাজী জেনিফার আজমেরী বলেন, উত্তরের হিমালয় থেকে খাদ্যের সন্ধানে এসে অসুস্থ হয়ে লোকালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল এই আটটি শকুন। শকুনদের চিকিৎসা ও পরিচর্যা শেষে প্রকৃতির মাঝে অবমুক্ত করা হলো। দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন বলেন, এটিই দেশের একমাত্র শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্র ২০১৪ সালে বন বিভাগ ও আইইউসিএন এর যৌথ উদ্যোগে এই কেন্দ্রটি চালু করা হয়। এর আগে ১৪৮টি শকুন উদ্ধার করে চিকিৎসা ও পরিচর্যা শেষে প্রকৃতির মাঝে অবমুক্ত করা হয়।