বাগেরহাটে সবজিতে স্বস্তি

প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

বাগেরহাটে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। তবে বাজারে নতুন আসা ঝিঙার দাম নিয়ে তাদের মনে অসন্তোষ বিরাজ করছে। ক্রেতারা বলছেন, ঝিঙা প্রকার ভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা। আর ৩০ টাকা কেজি দরের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। আলু ছাড়া বেগুন ১০ থেকে ৩০ টাকা, করলা ১৫ খেকে ৩০, শসা ১০ থেকে ২০, ঢ্যাঁড়স ১০ থেকে ২০ টাকাসহ সবধরনের সবজির দাম একটু কমে এসেছে। গতকাল বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ বাজারে কথা হয় ক্রেতা নয়ন তালুকদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাজারে সবজির দাম মোটামুটি কমই আছে। একমাস আগের ৪০ টাকা কেজির বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে, ৮০ টাকা কেজির করলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে, ১০ টাকা আঁটির পুঁইশাক বিক্রি আছে ৫ টাকা আঁটি দরে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ঝিঙা নতুন এসেছে তাই সরবরাহ কম। এ জন্য ঝিঙার দাম একটু বেশি। আর সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। নয়ন তালুকদার আরও বলেন, এসব কাঁচা সবজির দাম বেশির কারণে মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা একমাস আগে তো কিনতে হিমশিম খেত। এখন দাম একটু স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে। আরেক ক্রেতা লাল মিয়া বলেন, অন্যান্য সবজির দাম কমলেও আলুর দাম তো এখনও ৩৫ টাকা। যে আলু প্রায় সব তরকারিতে লাগে, সেই আলুর দাম কমার দরকার। তাহলে সব শ্রেণির মানুষের জন্য সুবিধা হবে। আর বাজারে নতুন আসা ঝিঙা তো রিতিমতো চোখ রাঙাচ্ছে। মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের সাধ্যের মধ্যে ঝিঙা আসতে আরও সময় লাগবে। মোরেলগঞ্জ বাজারের সবজি বিক্রেতা নাজমুল হাসান বলেন, এখন বাজারে প্রায় সবজিরই দামই কমেছে। কিছু সবজি আছে এখন পুরোনো হয়ে আসছে। যেমন সিম। এখন আর মানুষ সিম কিনছে না। সিমের বিচি কিনছে। তাই সিমের দাম কমে এসেছে। মাহাবুব হোসেন আরও বলেন, ঝিঙা নতুন সবজি তাই দাম একটু বেশি। সজনে ডাটার কেজি ছিল ১৬০ টাকা। এখন বিক্রি করছি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। তবে আলুর সরবরাহ থাকায় ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ বাড়লে দাম এমনিতেই কমে আসবে।