রঙিন মাছ চাষে সফল স্কুলছাত্র
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
ময়মনসিংহের ত্রিশালে স্কুলপড়ুয়া ছাত্র ইয়াসিন আরাফাতের শখের রঙিন মাছ এখন বাণিজ্যিকভাবে সফলতা পেয়েছে। বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অফিস-আদালতে এ্যাকুয়ারিয়ামে যারা মাছ চাষ করেন তারা আরাফাতের কাছ থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। নিজ বাড়িতে চৌবাচ্চা (হাউজ) বানিয়ে এ মাছ চাষ করছেন তিনি। উপজেলার ত্রিশাল ইউনিয়নের চিকনা মনোহর ইউনিভার্সিটি মোড়ে এলাকার বেসরকারি চাকরিজীবী জামাল উদ্দিনের মেঝো ছেলে ইয়াসিন আরাফাত। তিনি এ বছর ত্রিশাল সরকারি নজরুল একাডেমি থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
গত চার বছর আগে বাড়ির আঙিনায় ছোট দুটি হাউজ করে শখের বসে রঙিন মাছ পরীক্ষামূলক চাষ করেন। এতে সফল হন তিনি। পরে পিতা জামাল উদ্দিনের সহযোগিতায় মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা মাছ বিক্রি করছেন। এখন তার হাউসে সাত লক্ষাধিক টাকার মাছ রয়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি আরাফাত এখন রঙিন মাছে রঙিন স্বপ্ন দেখছেন। তিনি বলেন, প্রথম দিকে বাড়ির আঙিনায় ছোট দুটি হাউজ করে শখের বসে এ মাছ চাষ শুরু করি। সেখানে মাছ বড় হতে থাকে। কয়েক মাস পর কিছু মাছ বিক্রিও হয়।
এরপর বাবা ও বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় লেখাপড়ার পাশাপাশি আরও কয়েকটি হাউজ নিয়ে বিদেশি জাতের রঙিন মাছ চাষ শুরু করি। মাছগুলো আকারে ছোট হলেও বেশ সতেজ ও বাহারি নানা রঙের। হাউসে ৬ থেকে ৭ প্রজাতির মাছ রয়েছে। মাছগুলো অনেকে অর্নামেন্ট ফিসও বলে থাকেন। আরাফাত আরও জানান, আমার বাবা বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি তেমন এটা সময় পান না। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাবা মৎস্য কর্মকর্তার কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে থাকেন আর আমাকে সে অনুযায়ী দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এখন আমার হাউসে আছে গাপ্পি মলি, গোল্ডফিস, কমেন্ট, রেডটিকা, কইকাপ এবং প্লাটি জাতের মাছ। এ মাছগুলো আমরা ঢাকা কাঁটাবনে বিক্রি করে থাকি। ইয়াসিন আরাফাতের বাবা জামাল উদ্দিন জানান, ছোট থেকেই আরাফাতের রঙিন মাছের নেশা। আমিও চেয়েছিলাম আরাফাত লেখাপড়ার পাশাপাশি বাড়িতে থেকে কিছু একটা নিয়ে মেতে থাকুক। কারণ বর্তমান ছেলেমেয়েদের যে পরিস্থিতি! মোবাইলে বাজে আড্ডা থেকে আটকানোর জন্য তাকে বাড়ির আঙিনায় মাছ চাষের হাউস করে দেওয়া হয়। যাতে করে সে লেখাপড়া ও মাছ চাষ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারে।
এটা দিয়ে টাকা ইনকাম হবে এটা আমার কোনো মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল না। আমি চেয়েছিলাম ছেলে এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকুক।