পুঠিয়ায় শরীফা ক্লিনিক

ভুল চিকিৎসায় ২ রোগী মেরে মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বিজয় ঘোষ, রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীর পুঠিয়ার ঝলমলিয়া বাজারে শরীফা ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় দুইজন রোগী মেরে ফেলার অভিযোগ। এ ব্যাপারে গত ৩১ মার্চ নাটোর চন্দনপুর গ্রামের রাকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, রাজশাহী সিভিল সার্জন, পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুঠিয়া হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা: মো: আলী মাজরুই রহমান গত ৩১ মার্চ জুনিয়ার কনসালটেন্ট মেডিসিন ডা: মোহাম্মদ মতিউর রহমানকে সভাপতি, জুনিয়ার কনসালটেন্ট গাইনী ডা: রহিমা খাতুন কে সদস্য এবং জুনিয়ার কনসালটেন্ট অ্যানেস্থেসিয়া বিধান কুমার ফৌজদারকে সদস্য সচিব করে তদন্ত কমিটি গঠন করে। বর্তমানে তদন্ত চলমান রয়েছে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ঝলমলিয়া বাজারে অবস্থিত শরীফা ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় দুইজন রোগী মেরে ফেলার অভিযোগ। গত ১৩ মার্চ নাটোর জেলার জালালাবাদ গ্রামের জিয়াউর আলীর মেয়ে এবং আজিজুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন (১৯) কে ডায়রিয়া চিকিৎসা ও বাচ্চাপ্রসবের জন্য ভর্তি করে। এ সময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ গাইনি ডাঃ চন্দনা এবং অজ্ঞানের কথিত ডাঃ অবিনাশ দ্রুত অপারেশন করা না হলে বাচ্চা ও তার মা দুইজনই মারা যাবে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের আপত্তি উপেক্ষা করে অপারেশন করে। কিছুক্ষণ পর রোগীর পেট থেকে বাচ্চা বের করে কেবিনে দিলেও রোগীকে আর বের করা হয় না। অপারেশন চলাকালেই রোগী আরো দুইবার পায়খানা করে এবং অপারেশন থিয়েটারে রোগী মারা যায়। পরে দ্রুত রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে।

অপরদিকে গত ১৯ মার্চ নাটোর জেলার বীরাহিমপুর কটিপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪২) কে একই ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসাই মৃত্যু হয়। সেখানে অপারেশন করেন এমএস কোর্সের চলমান শিক্ষার্থী ডাঃ সুব্রত ঘোষ ও ডিএ কোর্সের ডাঃ অবিনাশ। তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোর্সের প্রশিক্ষণ করছেন। আর প্রশিক্ষণরত অস্থায় প্রাইভেট ক্লিনিকে তারা অপারেশন করতে বা রোগী দেখতে পারবে না। আইন অমান্যকারীদের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন অভিযোগকারীরা। ডাঃ সুব্রত ঘোষের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনি তো ডাক্তার না আপনি কী বুঝবেন। আমার বক্তব্য আপনার যা ভালোলাগে তাই লিখেন। ডাঃ অবিনাশের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম নূর হোসেন নির্ঝর জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।