ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দুমকিতে দীর্ঘদিন রাস্তার নির্মাণকাজ বন্ধ

ভোগান্তিতে যাত্রী ও এলাকাবাসী
দুমকিতে দীর্ঘদিন রাস্তার নির্মাণকাজ বন্ধ

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া বোর্ড অফিস বাজার থেকে কলবাড়ী বাজার-সংলগ্ন চেয়ারম্যান বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দুই বছর পূর্বে বিটুমিন ও কার্পেটিং সরিয়ে খোয়া দেওয়ার পর থেকে অজানা কারণে কাজ বন্ধ থাকায় খানাখন্দ ও ধূলাবালিতে যানবাহনসহ জনচলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘ দিন বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে এবং দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। নিম্নমানের ইট ব্যবহার করেয় মনটা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয়রা জানান, মোটরসাইকেল চালক মমিনুল ইসলাম খবির, গৌরী রানী নামের এক যাত্রী বলেন, গত দুই বছর আগে রাস্তায় নিম্নমানের ইটের খোয়া ফেলে রাখায় গুড়া হয়ে ধূলায় পরিণত হয়েছে। ধূলাবালির কারণে অটো, রিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন যাতায়াতের সময় ইটের গুড়া, মাটি ও বালি মিশে ধূলায় পরিণত হয়ে বাতাসে উড়ছে। যাত্রীদের জামাকাপড় ধূলাবালিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় ব্যবহৃত রাবিস পানিতে মিশে যাত্রীদের জামাকাপড় নষ্ট হচ্ছে। রাস্তার দুই পাশের ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গাছপালা ধুলাবালি পড়ে লাল হয়ে গেছে এবং শ্বাসকষ্ট জনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। এছাড়া রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কারের নামে ফেলে রাখায় খানাখন্দের কারণে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। নিম্নমানের ইট ব্যবহার কারার কারণে গুরা হয়ে গেছে। গাড়ির উঠলে ঝাঁকরানিতে চলাচলে শরীর ব্যথা হয়ে যাচ্ছে, ধুলাবালির কারণে চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে এবং শাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন। কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে পেইজ ঢালাই করে দিলে দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।

এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, দুমকী উপজেলার মুরাদিয়া ইউপিসি টু লাউকাঠী ইউপিসি ভায়া মুরাদিয়া হাইস্কুল ভায়া সাউথখালী জিপিএস এবং ভক্ত বাড়ি রাস্তাটি আম্পার প্রকল্প থেকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য ৩ কোটি ২৫ লাখ ৬ হাজার ৭৮৭ টাকা বরাদ্দ সাপেক্ষে শরিয়তপুরের মেসার্স শেখ এন্টারপ্রাইজ গত ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে কাজ শুরু করে এবং গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা।

মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার রাকিবুল ইসলাম আকনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ঈদের পরে রাস্তাটির কাজ শেষ করার কথা জানান। এ বিষয়ে দুমকী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ সাদ জগলুল ফারুক আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, আম্পার প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটির কাজ চলমান রয়েছে, ঠিকাদার দীর্ঘ দিন যাবৎ কাজ ফেলে রেখেছে। দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বার বার তাগিদ দেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত