তিস্তার চরাঞ্চলের বাড়ছে গমের আবাদ
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় দহগ্রাম তিস্তার চরাঞ্চলের চাষিরা গম চাষ শুরু করেছেন। এতে পাল্টে গেছে চরের অতীত চিত্র। খুশি তিস্তার পাড়ের কয়েক হাজার কৃষক পরিবার। এক দশক আগেও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপকভাবে গমের চাষ হতো। কিন্তু বর্তমানে কৃষক ভুট্টা চাষের দিকে বেশি ঝুঁকেছে। যার ফলে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গমের চাষ। চলতি বছরে পাটগ্রামে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে গমের চাষ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তার চরাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে তাদের। গত বছরের তুলনায় এবার তিস্তার নদীতে জেগে ওঠা চরে পলি জমায় গমচাষের সমারোহ, চরজুড়ে শোভা পাচ্ছে সোনালী গমের শীষ। ইতোমধ্যে গম পাকতেও শুরু করছে।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূল ও আধুনিক প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথা সময়ে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছর চেয়ে এবার বছর ৩৮ হেক্টর জমিতে প্রায় ১৬০ মেট্রিক টন গম উৎপাদন হলেও এ বছর তা বেড়ে ৫২ হেক্টর জমিতে ২৩৪ মেট্রিক টন গম উৎপাদন হবে জানিয়েছে এ দপ্তর। দহগ্রাম মহিমপাড়া এলাকার গমচাষি শাহান শাহ আলম বলেন, গত বছর গমের ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবছর বেশি জমিতে গম চাষ হয়েছে। এছাড়া গম চাষে খরচ কম, গতবারের চেয়ে এবার ফলন বেশি হযেছে। দহগ্রাম সৈয়দপাড়া এলাকার গমচাষি সাইদুর রহমান বলেন, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা আমাদের গম চাষে উদ্বুদ্ধ করাসহ সঠিক সময়ে প্রণোদনা হিসেবে উন্নত জাতের বিনামূল্যে গম বীজ ও সার প্রদান করায় আমরা গম চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল গাফ্ফার বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গমের ফলন চলতি মৌসুমে অত্যন্ত ভালো ফলন হয়েছে। সঠিক সময়ে কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে উন্নত জাতের গমের বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে।