ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট নিরসনে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন তিতাস ও দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)। ভোর ৬টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত পালাক্রমে তারা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিতাস উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্নে ঈদ যাত্রা সচল রাখতে, যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে দায়িত্ববণ্টন করা হয়েছে। দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে গৌরীপুর মোড় পর্যন্ত, গৌরীপুর মোড় থেকে মুরাদনগর গৌমতা পর্যন্ত, ইলিয়টগঞ্জ ব্রিজ থেকে বড়গোবিন্দপুর পর্যন্ত, পরিহলপাড়া থেকে ময়নামতি ক্যান্টমেন্ট পর্যন্ত, নাজিরা বাজার থেকে সুয়াগাজি পর্যন্ত, চৌদ্দগ্রামের লালবাগ থেকে এম.এ খালেক ফিলিং স্টেশন পর্যন্ত এবং এমএ খালেক ফিলিং স্টেশন থেকে লাটিমী পর্যন্ত জোনে ভাগ করে সংশ্লিষ্ট উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলাসমূহের নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) গণ এ দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন। এছাড়া কুমিল্লা-নোয়াখালী ও চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়ক এবং কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক সড়কগুলোতেও একইভাবে দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে গৌরীপুর মোড় পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন তিতাস উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিক-উর-রহমান এবং দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম। গত ৪ এপ্রিল থেকে আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন ৮ ঘন্টা করে তিনজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অন্যান্য জোনগুলোতেও একইভাবে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। আর এসব কার্যক্রম প্রতিদিন সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করছেন জেলা প্রশাসক খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমান। তিতাসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিক-উর-রহমান বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতে ৮ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করাটা যেমন অতিরিক্ত অভিজ্ঞতা তেমনি সাধারণ মানুষকে সেবা দেওয়ার প্রাপ্তিটাও বিশাল। তিতাসের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হাসান জানান, মানুষকে সেবা দেওয়াটা হলো প্রশাসনের প্রথম ও প্রধান কাজ। মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে সেখানেই আমাদের স্বার্থকতা।