কেশবপুর পৌরসভার গার্ভেজ ট্রাক চালককে মারধর

পরিচ্ছন্নকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুর পৌরসভার গার্ভেজ ট্রাকচালক নাজমুল হোসেনকে মারধর করার ঘটনায় গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পরিচ্ছন্নকর্মীরা কাজ বন্ধ রেখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। তারা কেশবপুর প্রেসক্লাবের সামনে ময়লা ফেলার গাড়ি ও সরঞ্জাম নিয়ে ওই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। ফলে শহরের বিভিন্ন স্থানের ময়লা-আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। অভিযোগ উঠেছে, গত শনিবার দুপুরে গার্ভেজ ট্রাক চালক নাজমুল হোসেন ও ডেকোরেটর মালিক পবিত্র সাহাকে ডেকে নিয়ে শহরের কোথাও মেয়রের তোরণ, ব্যানার-ফ্যাস্টুন থাকবে না বলে মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় পবিত্র সাহা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- পৌরসভার বাজিতপুর এলাকার দেলোয়ার হোসেন রকি ও তেঘরি এলাকার এরশাদ মোড়ল। এদিকে ঘটনা উল্লেখ করে গতকাল দুপুরে পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম কেশবপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে পৌর পরিষদ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তরা পৌরসভার গার্ভেজ ট্রাক চালক নাজমুল হোসেন ও ডেকোরেটর মালিক পবিত্র সাহাকে শহরের বকুলতলা এলাকায় ডেকে নিয়ে মারধর করে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন, প্যানেল মেয়র মনোয়ার হোসেন মিন্টু, কাউন্সিলর আতিয়ার রহমান, কামাল হোসেন খান, আব্দুল হালিম, খাদিজা খাতুনসহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ডেকোরেটর মালিক পবিত্র সাহা বলেন, ‘আমাকে দোকান থেকে মুঠোফোনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে জেলা পরিষদের সদস্য টিপু সুলতান ও রকি নামের এক যুবক মারপিট করে। ঘটনা উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত ডেকোরেটরের কাজ বন্ধ রাখা হবে’। গার্ভেজ ট্রাক চালক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘শহরের কোথাও মেয়রের তোরণ, ব্যানার-ফ্যাস্টুন থাকবে না বলে ওরা আমাকে মারপিট করে। আমি রোজা রেখেছি জানালেও তারা মারপিট করতে থাকে’। অভিযোগের বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য টিপু সুলতান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে সেটি সঠিক নয়। আমি কাউকে মারপিট করিনি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে’। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম বলেন, ডেকরেটর মালিক পবিত্র সাহার অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা হয়েছে। দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।