নওগাঁয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ার মধ্য দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন নামে পল্লী বিদ্যুতের এক ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার রাত ১০টার দিকে শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, মোশারফ হোসেন শান্ত নামে এক যুবক ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে ধারালো অস্ত্র হাতে ঠিকাদার সাজ্জাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে সাজ্জাদের মাথায় কোপ দেয় শান্ত। ওই মুহূর্তে গুরুত্বর জখম বাবাকে বাঁচাতে ছুটে যান সাজ্জাদের ছেলে হৃদয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হৃদয়কেও মারধর করে শান্তর অনুসারীরা। পুরো এ ঘটনাটি ঘটে ওই সড়কে চলাচলকারী শত শত মানুষের উপস্থিতিতেই। এদিকে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ার এ ঘটনার পর শহরজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর গা-ঢাকা দিয়েছে মোশাররফ হোসেন শান্ত ও তার অনুসারীরা। ভুক্তভোগী ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নববর্ষের দিন স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘোরাঘুরি শেষে বাড়িতে ফিরছিলাম। ফেরার পথে স্ত্রীকে পাঠিয়ে দিয়ে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে নেমে যাই। এ সময় মোশারফ হোসেন শান্ত আমার পথরোধ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। শান্তর সাথে থাকা ১০-১২ জনের প্রত্যেকের হাতেই ধারালো অস্ত্র ছিলো। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে। আমাকে বাঁচাতে ছেলে হৃদয় ছুটে আসলে তাকে বেদম মারধর করা হয়। শান্ত বাহিনীর অত্যাচারে আমাদের পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকা অতিষ্ঠ। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় শান্ত কাউকেই তোয়াক্কা করে না। এ ঘটনায় থানায় মামলা করলে আমাকে হত্যা করবে বলে এখনো হুমকি দিয়ে যাচ্ছে শান্ত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোশারফ হোসেন শান্তর সাথে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ওই ঠিকাদার বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষে এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।