প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যকে আস্বাদন করতে চান ভ্রমণপিপাসুরা। একটু অবকাশ পেলেই তারা ছুটে যেতে চান দিগ-দিগন্তে। আর এবারের ঈদ ও পহেলা বৈশাখ মিলে লম্বা ছুটিকে কাজে লাগিয়ে অনেক ভ্রমণপিপাসু এখন চায়ের দেশ মৌলভীবাজারে। প্রকৃতির লীলাভূমি এ জেলায় অবকাশের সেই সময়টুকু আনন্দময় করে তোলার জন্য রয়েছে নানা দর্শনীয় স্থান। যেখানে প্রাণ প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের কাছাকাছি থেকে এবারের লম্বা ছুটি উপভোগ করছেন তারা। জানা গেছে, পর্যটন সমৃদ্ধ জেলায় রয়েছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, গভীরে অরণ্যের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আধার হামহাম জলপ্রপাত, মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, খাসিয়া পুঞ্জি, হাকালুকি হাওর, মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, বাইক্কাবিল, গগণঠিলা, জলের গ্রাম অন্তেহরী, রাবার বাগান, চা গবেষণা কেন্দ্র, ৭১ বধ্যভূমি, সদরের মনু ব্যারেজ, বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক, পাহাড়ি টিলার মধ্যে সারি সারি চা বাগান আছে। গত রোববার মৌলভীবাজারের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ভিড় করছেন ভ্রমণপিপাসুরা। ঈদের পর থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে ভ্রমণপিপাসুরা এসেছেন এখানকার প্রাণপ্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের সংস্পর্শে। শিল্পকলা সমৃদ্ধ মণিপুরিসহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার জীবন ধারা ও সংস্কৃতিসহ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই জনপদ যে কোনো ভ্রমণপিপাসুদের মন ও দৃষ্টি কড়ে নেবে প্রকৃতির অপর মহিমায়। লাউয়াছড়া টিকেট কালেক্টর শাহিন আহমদ জানান, এবার ঈদের দিন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মতো। স্থানীয়রা জানান, প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগে প্রাত্যহিক রুটিনের বাহিরে এসে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ও আনন্দ পেতে ঈদের ছুটিতে হাজারো ভ্রমণপিপাসু আসেন মৌলভীবাজারে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঈদে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি পর্যটক এসেছে। একসঙ্গে ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটি হওয়ায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অনেক লোক সমাগম ঘটে। ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের পরিদর্শক প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেক পর্যটক শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে বেড়াতে আসেন। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন আছে। মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর রহমান বলেন, ঈদের বন্ধে ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যটন স্পটগুলো জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে।