নওগাঁয় সবধরনের সবজির দাম বেড়েছে। হাট-বাজারে সবজির সরবরাহ কমায় সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতি কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। ঈদ ও বৈশাখের আনন্দ কৃষকের ঘরে এখনো বিরাজমান থাকায় বাজারে কমেছে সবজি। এ কারণে দাম কিছুটা ঊর্ধ্বগতি। বাজার স্বাভাবিক হতে কিছুদিন সময় লাগবে বলে বলছেন চাষিরা। অপরদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫-৭ টাকা। গতকাল পৌর বাজার ঘুরে দেখা যায় সবজির সরবাহ কমেছে। এতে বেড়েছে দাম। নওগাঁ পৌর পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে বরবটি ৮০-৯০ টাকা কেজি। নতুন এ সবজি বাজারে একেবারেই কম হওয়ায় দাম সবচেয়ে বেশি। এছাড়া অন্যান্য সবজি প্রকারভেদে প্রতি কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। তবে কেজিতে ২০-২৫ টাকা বেড়ে করলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। বেগুন ১৫-১৬ টাকা বেড়ে ২০-২৫ টাকা। মিষ্টি কুমড়া ৫-৬ টাকা বেড়ে ২০ টাকা কেজি। নতুন লাল মুলা ২০ টাকা কেজি। ঢ্যাঁড়স ২০-২৫ টাকা, শসা ১২-১৫ টাকা ও টমেটো ১০-১২ টাকা কেজি। তবে ২৫-৩০ টাকা কমে সজনে ৩৫-৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০ টাকা ও মরিচ ২৫-৩০ টাকা কেজি। খুরা (ডাটা) প্রতি পিস ১-২ টাকা ও লাউ ১২-১৫ টাকা পিস। অপরদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে আলু প্রকারভেদে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে ৪৮-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ কেজিতে ৫-৭ টাকা বেড়ে ৪৫-৫২ টাকা কেজি এবং রসুন ১২০-১৩০ টাকা কেজি। চাষিরা বলছেন- কৃষকের ঘরে ঈদের আমেজ এখন রয়েছে। এছাড়া বাড়তি যোগ হয়েছে বৈশাখ মাস। জমি থেকে অল্প পরিমাণ সবজি তুলে বাজারে নেয়া হচ্ছে। এতে বাজারে সবজির সরবরাহ কমায় বেড়েছে দাম। ক্রেতা আশফাক বলেন- কয়েকদিন আগেও সবজির দাম কিছুটা কম ছিল। তবে এখন দাম বাড়ায় কিছুটা অস্বস্থিতে পড়তে হয়েছে। আবার কিছু সবজির দাম কমও আছে। খুচরা বাজারে আলু তো ৬৫-৭০ টাকা কেজি। আগামীতে আরো দাম বাড়তে পারে। এতে করে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য সমস্যা। নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি গ্রামে কৃষক কালাম হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগেও করলা ছিল ১৫-২০ টাকা কেজি। এখন খেতে করলা কম হওয়ায় উৎপাদনের পরিমাণও কমেছে। এ একারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। করলা উৎপাদনের খরচ বেশি দাম বেশি না হলে কৃষকদের লোকসান গুনতে হয়।