ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হিলিতে বেড়েছে চালের দাম

হিলিতে বেড়েছে চালের দাম

দিনাজপুরের হিলিতে সব ধরনের চালের দাম কেজি প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মিলাররা ধান গুদামজাত করে রাখার কারণে বেড়েছে চালের দাম বলছেন খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা।

এদিকে চালের দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। গতকাল সকালে হিলি চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে অটো মিলের স্বর্ণা চাল ৪৯ থেকে ৫০ টাকা, লোকাল স্বর্ণা ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা, আটাশ জাতের চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, কাটারি জাতের চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা এবং জিরা জাতের চাল ৬২ থেকে ৬৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলি বাজারে চাল কিনতে আসা আশরাফুল ও আবেদ আলী বলেন, দেশের বাজারে সব নিত্যপণ্যেরই দাম প্রায় বেশি।

আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন মসলার দাম অনেক চড়া। আমরা গরিব মানুষ ১ হাজার টাকা নিয়ে বাজারে আসলে ব্যাগের কোণা ভরে না। এর মধ্যে আবার চালের দাম বেশি। বিরামপুরের কাটলা বাজারের থেকে কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেশি যাচ্ছে স্বর্ণাচলের দাম। যার জন্য অল্প করে চাল কিনলাম। আমরা চাই সরকার নিত্যপণ্যসহ চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখুক। তাহলে গরিব মানুষ খেয়েপরে বাঁচতে পারবে। হিলি বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা বলেন, চাল বিক্রি করে মোকামে চাল কিনতে গেলেই চালের দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আগে যে চাল ৪৮ টাকা কেজিতে কিনেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা সেই চাল এখন ৫২ টাকা দরে কিনে ৫৪ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। কারণ, মিলাররা ধান মজুত করে রেখে চালের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে। সেইসাথে স্বর্ণা চাল, পাইজাম চাল বলে বিক্রি করছেন মিলাররা। কারণ পাইজাম চাল বলে কোনো চাল বাজারে নেই। সেই সাথে আঠাশ চাল এখন বাজারে নেই, তবুও বস্তার গায়ে এসব চালের নাম লিখে ক্রেতাদের ধোঁকা দিচ্ছেন মিলাররা। জহুরা, সাদিয়া পাইজাম বলে কোনো চাল নেই বলেও অভিযোগ করেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত