ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের ছুটি শেষ করে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। ফলে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট এলাকায় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তবে কোনো প্রকার ভোগান্তি ও দুর্ভোগ ছাড়াই কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন তারা। গতকাল দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিন দেখা যায়, বাস, মাহিন্দ্রা, থ্রি-হুইলার, ইজিবাইকে করে মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আসছেন। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় এসে তারা ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি ও লঞ্চে উঠতে পারছেন। এ ছাড়া ঘাট এলাকায় মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপও রয়েছে চোখে পড়ার মতো।
দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় কোনো প্রকার যানজট বা ভোগান্তি না থাকায় সন্তুষ্ট কর্মস্থলে ফেরা এসব মানুষ। জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ ও ঈদ শেষ করে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের অনেক দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাট এলাকায় বসে থাকতে হত ফেরির জন্য। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ার সেই দুর্ভোগ ও ভোগান্তি আর নেই। এখন যাত্রী ও যানবাহন সহজেই ঘাট পার হয়ে গন্তব্যে যেতে পারছে। আগে যেখানে ঈদের আগে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার গাড়ি দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে পার হত, সেখানে এখন যানবাহনের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। গত রোববার সকাল ৬টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া হতে পাটুরিয়া গাড়ি পার হয়েছে ৩ হাজার ৯৪৪টি।
এর মধ্যে বাস-মিনিবাস ৫২১টি, ট্রাক ২৯২টি, ছোট গাড়ি ১ হাজার ৬১৭টি ও মোটরসাইকেল ১ হাজার ৫১৪টি। ঢাকামুখী যাত্রী রতন শেখ, শান্তা ইসলাম, মাহমুদ আলী বলেন, দীর্ঘ কয়েক দিনের ছুটি শেষে আজ কর্মস্থলে ফিরছি। ঈদ করতে বাড়িতে যেতে কোনো দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। আবার ছুটি শেষ করে কর্মস্থলে ফিরতেও কোনো ভোগান্তি নেই। এবারের ঈদযাত্রা অনেক স্বস্তিদায়ক ছিল। ঘাট কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অর্ধেকে নেমে এসেছে। আগের মতো ঈদের চাপ আর নেই। যাত্রীরা দুর্ভোগ ছাড়াই এই রুট দিয়ে যাতায়াত করতে পারছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরি চলছে। কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বাড়লেও কোনো প্রকার ভোগান্তি নেই ঘাটে।