গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত সব ঋতুতেই এখন সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর করাল গ্রাস কেড়ে নিয়েছে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ২নং আমরাজুড়ী ইউনিয়নের আশোয়া গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি। বৃহৎ আশোয়া গ্রাম ভাঙতে ভাঙতে এখন ছোট হয়ে গেছে। একযুগ আগেও ৩ হাজার গ্রাম ছিল এখানে। ভাঙতে ভাঙতে এখন এক হাজার দুইশটি খানায় পড়ে রয়েছে। সন্ধ্যা ও গাবখান কেড়ে নিয়েছে বেশ কিছু মসজিদ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এলাকার বৃহৎ খেলার মাঠসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এসব ভাঙনকবলিত এলাকার লোকজন যারা অবস্থাপন্ন তারা অন্যত্র বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে। আর যারা অপেক্ষাকৃত গরিব শ্রেণির তারা সব হারিয়ে নিঃস্ব অসহায় যাযাবরের মতো জীবনযাপন করছে। আশোয়া গ্রামের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবী হানিফ, রুস্তুম, মোজাম্মেল শরীফ, আবুল বাশারসহ অনেকেই জায়গা-জমি, বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। এলাকার সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার আকলিমা বেগম জানান, ভাঙনের ঝুঁকিতে বর্তমানে প্রায় শতাধিক পরিবার রয়েছে। তাদের দ্রুত সরিয়ে না নিলে তারাও জমি-জমা, বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে। ভাঙন রোধকল্পে এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে এলাকার অনেকেই জানান। তারা জানান, শত শত বাড়িঘর স্থাপনা ভেঙে গেলেও সরকারি বা বেসরকারি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন রোধকল্পে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।