রোদের ঝলকানিতে জনজীবনে হাঁসফাঁস

প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো গাইবান্ধায়ও প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরম পড়ছে। চরাঞ্চলসহ জেলার চারিদিকে রোদে খাঁ খাঁ করছে। এমন গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ছুটছেন গাছের ছায়ায়। আবার অনেকে ঠান্ডা পানীয় ও আইসক্রিম খেয়ে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। গতকাল দুপুরে গাইবান্ধার গ্রামাঞ্চলে দেখা যায় গরমের চোটে মানুষের এমন হাঁসফাঁসের চিত্র। এ সময় অনেকে ঘাম ঝরা দেহ নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। কাঠফাঁটা রোদ আর অসহনীয় গরমে কৃষক মাঠে কাজ করতে পারছে না। সেই সঙ্গে সিএনজি, আটোরিকশা ও ভ্যান চালকদেরও একই অবস্থায়। অনেকে জীবিকার তাগিদে বাড়ি থেকে বের হলেও রোদণ্ডভ্যাপসা গরমে অস্থির হয়ে উঠছেন। বাধ্য হয়ে তারা ফিরছেন বাড়িতে। এর ফলে শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। দেখা যায়, গাইবান্ধা জেলায় গত ৩ দিন ধরে দিনের বেলায় কাঠফাটা রোদ। আর এই রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠঘাট। বাসাবাড়ি ও পথঘাটে প্রচণ্ড তাপ, কোথাও স্বস্তি নেই। যার ফলে বেড়েছে দাবদাহ। অসহনীয় গরমে মানুষের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এমন আবহাওয়ায় গাইবান্ধার মানুষদের বেড়েছে রোগবালাই। অনেকের সর্দি, জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা ও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে এক পশলা বৃষ্টির প্রার্থনা করছে। তবে গরমের সুযোগে ব্যবসা বেড়েছে কনফেকশনারি দোকানিদের। এসব দোকানে ফ্রিজে রাখা পানীয়, আইসক্রিম, দই, শরবত ও ইত্যাদি ঠান্ডা খাবার কিনতে ভিড় করছে মানুষ। গাইবান্ধা বাস স্ট্যান্ডে আসা রিকশাচালক কামরুল ইসলাম বলেন, তীব্র গরম আর রোদে গাড়ি চালানো দায় হয়ে পড়েছে। তবুও জীবিকার তাগিতে ভাড়া মারার চেষ্টা করছি। কিন্তু অসহনীয় গরমে যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে।

রাসেল মিয়া নামের এক কনফেকশনারি দোকানি বলেন, সম্প্রতি তীব্র দাবদাহের কারণে ব্যবসা বেড়েছে কনফেকশনারি দোকানিদের। দোকানে ফ্রিজে রাখা পানীয়, আইসক্রিম, দই, শরবত ইত্যাদি ঠান্ডা খাবার কিনতে ভিড় করছে মানুষ। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আনিছুর রহমান বলেন, তীব্র গরমে বাড়ছে রোগবালাই। অনেকের সর্দি, জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা ও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল সুপার ডা. মাহবুব হোসেন জানান, গরমে পানি স্বল্পতাসহ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। তাই তীব্র তাপদাহে শিশু, বৃদ্ধ মানুষের খুব জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে না যাওয়াই ভালো।