তিন দিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে গত কয়েক দিন ধরে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গতকাল বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৫ শতাংশ। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গতকাল বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির তেমন আভাস নেই। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। আজকের তাপমাত্রা দেশের সর্বোচ্চ কি না তা সন্ধ্যা ৬টায় নিশ্চিত হওয়া যাবে। এর আগে গত বুধবার চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও মঙ্গলবার ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এদিকে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠছে জনপদে। মানুষের পাশাপাশি হাঁসফাঁস অবস্থা পশু-পাখিরও। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সবকিছুই উত্তপ্ত। রোদে অতিপ্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। কমেছে রিকশা-ভ্যান চলাচল। ফুটপাতে ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা কমেছে। চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজার চৌরাস্তা মোড়ে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন ধরনের পোশাক বিক্রি করে আসছেন কয়েকজন ফুটপাত ব্যবসায়ী। তারা বলেন, ছাতার তলে বসে আছি তবুও মনে হচ্ছে আগুনের ঝাঁজ লাগছে। রোদের তাপে মনে হচ্ছে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। লোকজনের আনাগোনা কম থাকায় বেচাকেনাও কম। গরম পড়লেও পেটের দায়ে আসতেই হচ্ছে।
সবজি চাষিরা বলছেন, গরম ও রোদে বিভিন্ন সবজির ক্ষতি হচ্ছে। ঝরে পড়ছে সব ফল-পাতা। ওষুধ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। ফলে লোকসানের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে চাষিদের। চলমান দাবদাহে ফসল রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আগামী আরও কিছুদিন তীব্র দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমতাবস্থায় ফল বিভাগ, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।