গত কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। টানা তিনদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এই জেলায়। এরমধ্যে চলছে লোডশেডিং। ফলে তাপদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলার মানুষজন। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণিকুল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত ও পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা। ফলে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থে?কে হিট অ্যালার্ট জা?রি করা হ?য়ে?ছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষরা বের হলেও ফাঁকা রাস্তায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা। আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ১৭ এপ্রিল তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। সবশেষ ১৮ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হ?য় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এখন পর্যন্ত দে?শের স?র্বোচ্চ তাপমাত্রা। শুধু চলতি বছর নয়, আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর টানা প্রায় ১৩ দিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। আর এটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর আশপাশেই থাকছে। টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানিয়েছেন, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ চলমান রয়েছে। দাবদাহের কারণে মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। দুদিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না। ২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।