ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে দুর্ঘটনা

চার ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক
বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে দুর্ঘটনা

বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষের কারণে প্রায় ৪ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এর আগে গতকাল ভোর ৫টার দিকে মহাসড়কে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কামাক্ষার মোড়ে ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ হয়। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশন থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়কে প্রায় ১৩ কিলোমিটারজুড়ে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এদিকে, যানজটের কারণে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে ভূঞাপুর লিংকরোড ব্যবহার করে এলেঙ্গায় গিয়ে মহাসড়কে ওঠে। ভূঞাপুর লিংক রোড ব্যবহার করতে গিয়ে কালিহাতী, ঘাটাইল ও ভূঞাপুরের সীমান্ত এলাকা সিংগুরিয়ায় হানিফ পরিবহনের একটি বাস থামিয়ে যাত্রীরা স্থানীয় মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে যায়। এ সময় নিয়ন্ত্রণহীন একটি যাত্রী বোঝাই পিকআপভ্যান দাঁড়িয়ে থাকা বাসের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপভ্যানের কমপক্ষে ১০ যাত্রী আহত হয়। তাদের মধ্যে চারজনকে গুরুতর আহতাবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারা হচ্ছেন- গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মকবুল হোসেনের ছেলে মো. শহীদ, তার স্ত্রী মোছা. ফেরদৌসী, শহীদুল ইসলামের ছেলে পলাশ এবং একই জেলার সাঘাটা উপজেলার আব্দুল হাইয়ের ছেলে মামুন। তারা সবাই পোশাককর্মী এবং গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দা। আহত অন্যদের ভূঞাপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মো. স্বপন আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহণের একটি বাস ঢাকা যাচ্ছিল। বাসটি যাত্রীদের ফজর নামাজের জন্য সিংগুরিয়া ঈদগাঁ মাঠ সংলগ্ন মসজিদের পাশে যাত্রা বিরতি দেয়। হঠাৎ যাত্রীবোঝাই একটি পিকআপভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপভ্যানে থাকা সব যাত্রী আহত হন। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. লিটন মিয়া জানান, গতকাল ভোরে মহাসড়কের কামাক্ষার মোড়ে ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ হলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সড়ক থেকে গাড়ি দুটি সরিয়ে নেওয়া হলে সকাল ৯টার পর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত