হবিগঞ্জের মাধবপুরে আমেরিকান প্রবাসী ৮ বছরের শিশু পুত্রের ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় চলছে। মাধবপুরের বেসরকারি ক্লিনিকের সনোলজিষ্ট শাহীনূর রহমান নামে এক ডাক্তার জ্বরে আক্রান্ত শিশুকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়া শনাক্ত করে ওই শিশুকে হাতের শিরায় ১৪টি ইনজেকশন পুশ করতে ব্যবস্থাপত্রে লিখে দেন। পরে শিশুর পরিবারে সন্দেহ হলে ঢাকার একটি হাসপাতালে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান তার শরীরে ডেঙ্গু নিউমোনিয়ার কোনো আলামত নেই। শিশুকে ১৪টি ইনজেকশন দিলে তার অবস্থার আরো অবনতি ঘটত। মাধবপুর উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের আমেরিকান প্রবাসী শাখাওয়াত হোসেন পলাশ জানান, তার শিশু পুত্র সাঈফ হোসেন বাড়িতে জ্বরে আক্রান্ত হলে গত ১২ এপ্রিল তার চিকিৎসা করাতে মাধবপুর তিতাস হাসপাতালের ডাক্তার শাহীনূর রহমানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, তার শিশু পুত্র ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। পরে ডাক্তার ব্যবস্থাপত্রে ১৪টি ইনজেকশন হাতের শিরায় পুশ করতে লিখেন। কিন্তু তার চিকিৎসা নিয়ে মনের মধ্যে সন্দেহ হলে তাকে ঢাকার একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ডাক্তার শিশুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান শিশুর শরীরে ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ার কোনো লক্ষণ নেই। না বুঝে শিরায় ইনজেকশন করা হলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারত। সাঈফের ভুল চিকিৎসা নিয়ে প্রবাসী পিতা শাখাওয়াত হোসেন পলাশ গতকাল শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিস্তারিত লিখে পোষ্ট আপলোড করা হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগীরা ডাক্তার শাহীনুর সম্পর্কে নানা মন্তব্য করেন। সাইফুল ইসলাম নামে এক ছাত্রলীগ লিখেন, শাহীনুর ডাক্তার সর্ব রোগের মহাচিকিৎসক। লোকজন বিপদে পরে তার কাছে গেলে তিনি অপচিকিৎসা করেন। তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত। ফুয়াদ আলম চৌধুরী নামে এক শিক্ষক লিখেন, উনি এত পরিমানে ওষুধ দেন। তার নাম শুনলে ভয় লাগে। এ ব্যাপারে বেসরকারি তিতাস হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার শাহীনুর রহমান বলেন, তার অবস্থা লক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার শরীরে নিউমোনিয়ার আলামত পাওয়া গিয়েছে। এ কারণে ১৪টি ইনজেকশন শিরায় পুশ করতে ব্যবস্থাপত্রে লেখা হয়েছে।