কালীগঞ্জে বোরো চাষে বিদেশি হাইব্রিড খ্যাত সুরভী-১ জাতের ধানের বাম্পার ফলন সফলতার দ্বারপ্রান্তে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের অধীনে গৃহীত ও পরিচালিত ‘সমলয়’ প্রকল্পের ৯৯ জন কৃষক ৫০ একর জমিতে একর প্রতি শত মণ ধান উৎপাদনে আশাবাদী। সরেজমিন জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে অধিক ফসল উৎপাদনে সরকার গৃহীত প্রকল্পের অধীনে কালীগঞ্জের কুশুলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর (বড়) মৌজার ৫০ একর কৃষিজমিতে বোরো চাষে ৯৯ জন কৃষকের সমন্বয়ে ‘সমলয়’ প্রকল্প গৃহীত হয়। এ প্রকল্পে কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে প্রয়োজনীয় সার, বীজ সরবারহসহ যন্ত্রের মাধ্যমে ধান্য রোপণ, কর্তন ও মাড়াইয়ের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে কৃষকের শ্রম ও মজুরি সাশ্রয় হচ্ছে। প্রকল্পে কৃষককে শুধু কীটনাশক ও সেচ খরচ মিটাতে হয়। এদিকে বিদেশি হাইব্রিড খ্যাত সুরভী-১ জাতের ধান চাষে একর প্রতি ৯০ থেকে ১০০ মণ ধান উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা অর্জন এখন সফলতার দ্বারপ্রান্তে, যা এর আগের বোরো ধান উৎপাদনে সকল রেকর্ড অতিক্রম করতে যাচ্ছে। প্রকল্পে ধান গাছের বড় বড় সোনালি ধানের শীষ এখন পরিপক্বতার পথে। আসছে মে মাসের ২২ তারিখের কাছা কাছি সময়ে প্রকল্পের ধান কর্তন শুরু হবে- এমটি বলেন প্রকল্পের অন্যতম পরামর্শক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: আতাহার হোসেন। স্বল্প খরচে বেশি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কালীগঞ্জে কৃষিতে বিপ্লব সাধিত হতে যাচ্ছে যা আগামী দিনে গোটা কালীগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় কৃষকদের মাঝে অনুপ্রেরণা জোগাবে এমন আশা সংশ্লিষ্ট মহলের। এ বিষয়ে প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ্ ওয়াসীম উদ্দীন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এই প্রথম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যন্ত্রের মাধ্যমে একই সাথে বীজ বপন, রোপণ ও কর্তন হওয়ায় সুনিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে প্রকল্পের সফলতা এসেছে। তিনি বলেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে যথা সময়ে প্রকল্পে ধান কাটার উৎসব শুরু হবে।