কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় লাগাতার তাপপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে জনজীবন। নাজুক হয়ে পড়ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম। তীব্র রোদ আর তাপদাহে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন উপজলোবাসী। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এ অবস্থায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। খুব প্রয়োাজন না হলে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা।
অসহ্য গরম। বাতাস আছে হাল্কা। সাপ্তাহজুড়ে ঠানা দাবদাহে পুরছে মুরাদনগর উপজেলা। খাঁ খাঁ রোদে মুরাদনগর উপজেলার ব্যস্ততম সড়কগুলোতে লোক চলাচল কমে গেছে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। কোথাও গরমের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে অনেককে দেখা গেছে রাস্তার পাশে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে। আর কর্মজীবী মানুষেরও যেন কষ্টের শেষ নেই। উপজলোয় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রোদের প্রখরতায় রাস্তায় ছিল না, তেমন কোনো মানুষজন। যানবাহন চলাচল করতে কম দেখা গেছে। পথচারীরা টিউবলের পানি মুখে ও মাথায় দিয়ে গরম থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে তীব্র গরমের কারণে বেড়েছে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, জ্বর, ঠান্ডা, গলাব্যথা, কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি।
রিকশাচালক মতিন মিয়া বলেন, গরমের কারণে রিকশা চালাতে বেশ কষ্ট হলেও চালাতে হবে। রিকশা না চালালে ছেলেমেয়ে নিয়া খামু কি। কৃষক লিটন মিয়া বলেন, প্রচণ্ড গরমে আমাদের জীবন বিপর্যস্ত, তারপরেও কিছুই করার নাই। খেতে হলে মাঠে কাজ করতে হবে। উপজেলা সদরের রাস্তার পাশে সরবত বিক্রেতা কবির হোসেন বলেন, গরমে আগের চেয়ে সরবত বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে রোদের অতিরিক্ত তাপের কারণে মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে কম। মানুষ থাকলে বিক্রি আরো বেশি হতো। আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বিরাজমান তাপপ্রবাহ আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।