কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫টি বড় বড় গাছ নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি হলেও ৬টি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের পাথরডুবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিন গিয়ে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রাচীর নির্মাণের জন্য বিদ্যালয়টির মাঠ ঘেঁষে থাকা বড় বড় বিভিন্ন জাতের ৫টি গাছ নিলামে বিক্রির জন্য গোপনে দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রে অংশ নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক আবুল বাশার ৫টি বড় বড় গাছ নাম মাত্র মূল্যে ৫৬ হাজার টাকায় কিনে নেন। বর্তমানে যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা। ৫টি গাছ কাটার কথা থাকলেও গত ৭ এপ্রিল প্রকাশ্যে ৬টি গাছ কাটা হয়েছে। অপর গাছটি রাজু, সহকারী শিক্ষক রোকন ও শামছুল হক নামক ব্যাক্তির কাছে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন আবুল বাশার। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী গাছটি আটক করে। বর্তমানে গাছটি বিদ্যালয় মাঠে রয়েছে। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরিঘড়ি করে রাতের আঁধারে কেবা কারা গাছটি কেটে ফেলে মর্মে একটি রেজুলেশন তৈরি করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দেন বলে এলাকাবাসী জানান। ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাহাবুব হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির টেন্ডার এর বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। পরে এলাকাবাসীর মারফত জানতে পারি ৫টি গাছের টেন্ডার হয়েছে; কিন্তু গাছ কাটা হয়েছে ৬টি। এলাকাবাসী রাজু মিয়া ও লুৎফর রহমান জানান, গাছ বিক্রির টেন্ডার সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। বড় বড় গাছ ৫টির বাজার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা। কিন্তু মাত্র ৫৬ হাজার টাকায় তা বিক্রি করা হয়েছে। গাছ ৫টি কাটার কথা থাকলেও তারা ৬টি গাছ কেটেছে। পরে এলাকাবাসী ১টি বড় গাছ আটকে দিয়েছে। অতিরিক্ত গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল বাশার বলেন, আমি কোনো অতিরিক্ত গাছ কাটিনাই- গাছ কেটেছে রাজু, সহকারী শিক্ষক রোকন ও শামছুল হক। এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা খাতুনের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।