বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ইরি-বোরো আবাদ মৌসুমের সেচ সম্পন্নের শেষে মুহূর্তে বিভিন্ন এলাকায় আবারো বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক পড়েছে। চোরেরা একটি কাগজের চিরকুটে বিকাশের মাধ্যমে টাকা চেয়েছেন। বিকাশে তাদের দাবির টাকা পরিশোধ করলে মিটার ফেরত দেবে বলে চিরকুটে জানায়। গত শনিবার দিবাগত রাতে আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ইরি স্কিম থেকে ছয়টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটে। এর দুই মাস আগে ওই এলাকায় ৫০টির অধিক বৈদ্যুতিক মিটার চুরি যায়। পরে গভীর নলকূপের মালিকরা বিকাশে তাদের দাবির টাকা পরিশোধ করে মিটার ফেরত নেন। এই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ইরি-বোরো স্কিমের গভীর ও অগভীর নলকূপ থেকে ২ শতাধিক বৈদ্যুতিক মিটার ও ট্রান্সফর্মারের যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা ঘটলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, তারা নাম প্রকাশ করলে মিটার ফেরত দেবে না বরং বার বার মিটার চুরি করে হয়রানি করবে বলে হুমকি দেয় বৈদ্যুতিক মিটার চোরচক্রটি। ফলে ভয়ে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব না। গত শনিবার দিবাগত রাতে আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির গোবিন্দপুর দক্ষিণ মাঠ ইরি স্ক্রিম গভীর নলকূপ থেকে একটি, দক্ষিণ গোবিন্দপুর দক্ষিণ মাঠ থেকে দুটি, কয়াকুঞ্চি পূর্বমাঠ থেকে দুটি ও চকবাড়িয়া পশ্চিম মাঠ থেকে একটিসহ মোট ছয়টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। ওই সব গভীর নলকূপের অংশীদাররা জানান, বৈদ্যুতিক মিটার চুরির অভিযোগ থানায় করেও কোনো ফল হয় না। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও নানা প্রশ্ন তুলেছেন অনেক কৃষক। ভরা মৌসুমে উঠতি ইরি-বোরা ধান খেতে আর অল্প দিন পানি সেচ দেয়া লাগতে পারে। কিন্তু এরই মধ্যে আবারো গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি যাওয়ায় কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা নিশ্চিত করে।