ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেশবপুরে তীব্র দাবদাহে জনজীবন স্থবির

কেশবপুরে তীব্র দাবদাহে জনজীবন স্থবির

যশোরের কেশবপুরে বৈশাখের শুরুতেই বেড়েছে তীব্র দাবদাহ যার ফলে প্রচণ্ড গরমে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। টানা কয়েক দিনের তাপদাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। প্রাণিকুলের নাভিশ্বাস উঠেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রার তীব্রতা। যতই বেলা বাড়ছে, ততই হাট-বাজার ও রাস্তা-ঘাটে মানুষের চলাচল সীমিত হয়ে যাচ্ছে। গরমে একটু প্রশান্তি পেতে মানুষ ঠান্ডা জায়গা ও গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে। গত শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৬ ডিগ্রি। গতকাল রোববার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি দেখা গেছে।

সরেজমিন জানা গেছে, প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোক, ডায়রিয়া, শিশুদের নিউমোনিয়াসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা। সাথে সাথে এই তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে বেলা ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বাইরে না বের হতে এবং ঠান্ডা পানি, স্যালাইন ও লেবুর শরবত পান করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে সূর্যের উত্তাপ। বাতাসে আগুনের হুলকার মতো তাপ বের হচ্ছে। দুপুর হলে ঘরের বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। দুপুরে ৩৯ থেকে ৪০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। জীবন জীবিকায় যাদের দিনমজুরই একমাত্র ভরসা এই গরমে সেই মানুষরা পড়েছে সব চেয়ে বেশি বিপাকে। গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে শিশুসহ নানা বয়সের মানুষের পাশাপাশি অন্যান্য প্রাণীরাও পানিতে শরীর ভিজিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গতকাল রোববার কেশবপুরে তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহরের টাইগার মোড়ে অতিরিক্ত তাপে ক্লান্ত হয়ে ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামকে একটু স্বস্তি পাওয়ার জন্য চোখে মুখে পানি ছিটানোর দৃশ্য নজরে পড়ে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক, ডায়রিয়া, শিশুদের নিউমোনিয়াসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত