সুন্দরবনের নদী খালে শত শত অসাধু জেলে বিষপ্রয়োগ করে চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সকল জেলেরা ঘন ফাঁসের চরপাতা, ভেষালি ও খালপাটা জালে প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমাণ মাছ শিকার করে বনাঞ্চল সংলগ্ন মৎস্য আড়তে বেচাবিক্রি করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে। বনরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দাকোপ, কয়রা, পাইকগাছা, শ্যামগনর ও আশাশুনি এলাকার বহু জেলে সুন্দরবনের হড্ডা, মার্কি, মোল্লাখালি, চালকি, ময়দাপেশা, খড়খুড়ি, আড়ুয়া. দুধমুখ, পিনমারা, হংসরাজ, অভয়ারণ্যের কাগা, দোবেকি, ছিচখালি, কালিরচর, ভোমরখালি, গেওয়াখালি, আন্দারমানিক, মুড়ুলি, মোরগখালি, চেরাগখালি, নোটাবেকি, পুস্পকাটি, মান্দারবাড়িসহ সুন্দরবনের গহিনের নদী, খাল ও ভারানিতে নিষিদ্ধ ঘনফাঁসের ভেষালি, চরপাতা ও খালপাটা জাল ব্যবহার করে মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়রা এলাকার কয়েকজন জেলে জানিয়েছেন ফরেষ্ট স্টেশন থেকে খেওলা জালের পাশ নিয়ে বনের ভেতরে ঢুকে খালপাটা, চরপাতা, ভেষালি জালে মাছ ধরি। আগেভাগে নিষিদ্ধ ঘন ফাঁসের জাল বনের ভেতরে রেখে দিই। গোন শুরু হলে বনে ঢুকে এ সকল জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করি। এতে আমাদের কোন সসম্যা হয় না।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করতে বনরক্ষীদের সঙ্গে অসাধু জেলেদের আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পশ্চিম সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্র মন্ডল বলেন, মাছ ধরার জন্য এক টাকা ও পাঁচ টাকার কয়েন সমপরিমাণ ফাঁসের চরপাতা জালের পাশ দেওয়া হচ্ছে। যে সকল জেলে ঘন ফাঁসের জাল নিয়ে বনের ভেতরে মাছ শিকার করছে তাদের পাকড়াও করতে অভিযান চলমান রয়েছে বলে স্টেশন কর্মকর্তা জানান।