টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর বাজারের পাশে বংশাই নদীতে ব্রিজ না থাকায় মির্জাপুর, সখীপুর ও বাসাইল উপজেলার প্রায় ২৫ গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, মির্জাপুর উপজেলার ৩ নম্বর ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে চলা বংশাই নদীর উপর একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু নানা জটিলতায় এখনও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ব্রিজ না থাকায় থলপাড়া, বানকাটা, পালপাড়া, সুতানরি, গোবিন্দপুর, বন্যাতলী, গোড়াকি, তেঘুরি, ভাতকুড়া, সোনারচর, পারদিঘি, কাঞ্চনপুর, হিলড়াসহ আশপাশের প্রায় ২৫টি গ্রামের লোকজনদের নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এছাড়া মির্জাপুর, সখীপুর ও বাসাইল উপজেলার শত শত লোকজন ওই বাঁশের সাঁকোর উপর নির্ভরশীল। জেলা ও মির্জাপুর উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে এতদাঞ্চলের মানুষদের ১০-১৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরতে হয়। ফলে, এ এলাকার লোকজনদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে ঝুঁকি নিয়ে অধিক সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। স্থানীয়রা আরও জানায়, বংশাই নদীর উপর ব্রিজ না থাকায় এলাকার কৃষকরা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় যাতায়াতে শিক্ষার্থীদের নদী পারাপারে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুর রউফ মিয়া জানান, ফতেপুর ইউনিয়ন অত্যন্ত অবহেলিত। বিশেষ করে নদী ভাঙনে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। ফতেপুর বাজারের পূর্ব পাশে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ অতি জরুরি। বিষয়টি স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনওসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু তাদের দাবি আলোর মুখ দেখেনি। মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান জানান, সংসদ সদস্যের নির্দেশনায় বংশাই নদীর উপর একটি পাকা ব্রিজসহ বেশ কয়েকটি ব্রিজ-কালভার্ট তৈরির অর্থ বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ জানান, ফতেপুরে একটি ব্রিজ জরুরি বিবেচনায় নিয়ে তিনি কয়েকটি ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ডিও লেটার দিয়েছেন। তিনি আশা করছেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই স্থানে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।