চুয়াডাঙ্গায় টানা ১৪ দিন অতিতীব্র থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহের মধ্যে গতকাল রাত দেড়টার দিকে আকস্মিক বজ্রবৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া বয়ে যায়। কিন্তু বৃষ্টির পর তাপমাত্রা আরও বেড়েছে। গতকাল বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, গতকাল দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিলো ২৩ শতাংশ। তাপমাত্রা আরও বেড়ে বিকাল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিলো ২১ শতাংশ। এর আগে, রাত ১টা ২০ মিনিটে বজ্র বৃষ্টি শুরু হয় এবং দমকা হাওয়া বয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয় এই ঝড়-বৃষ্টি। এ সময় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার। বৃষ্টির আগে গত মঙ্গলবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ বৃষ্টির পর এ জেলার তাপমাত্রা আরও দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।