পাবনার ঈশ্বরদীতে রিয়া খাতুন নামে এক শিশু শিক্ষার্থী মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে। গত বুধবার রাত ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। রিয়া উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পাঠশালা মোড়ের পিন্টু বিশ্বাসের মেয়ে এবং দিয়াড় সাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। রিয়া খাতুনের ফুফাতো ভাই সৌরভ হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার দুপুরে উপজেলার মানিকনগর পাঠমালা মোড়ে নিজ বাড়িতে মাটির তৈরি পুতুল আগুনে পোড়াতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয় রিয়া। তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সাবরিনা রহমান বলেন, আগুনে শিশু রিয়ার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বেশিরভাগই পুড়ে গেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, রিয়া খাতুনের বাবা পিন্টু বিশ্বাস রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরি করেন। তার মা বাড়ির মেইন গেটে তালা দিয়ে বাইরে যান। সে সময় রিয়া এবং তার ৫ বছর বয়সি ভাই গ্যাসলাইট জ্বালিয়ে উঠানে খেলছিল। খেলার এক পর্যায়ে রিয়া মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে জামায় আগুন লেগে যায়। আগুন লাগার সময় শুধু রিয়া এবং তার ছোট ভাই বাড়িতে ছিল। বাড়ির মেইন গেট তালাবদ্ধ থাকায় প্রতিবেশীরাও বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেনি। আগুনে শিশু রিয়ার শরীর পুরোটাই পুড়ে যায়।