অতিরিক্ত গরমে দিনের বেলা চাষিরা খেতের পাকা ধান কাটতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়ে রাতের বেলাকেই ধান কাটার সময় হিসেবে বেছে নিয়েছেন তারা। দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে বাসায় থাকছেন, আর রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা। এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চর কাশাভোগ এলাকায়। এদিকে, এই সমস্যা সমাধানে সরকারের দেওয়া কম্বাইন হার্ভেস্টার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন জেলা কৃষি বিভাগ। সরেজমিন বেশ কয়েকটি ধানের জমিতে গিয়ে দেখা যায়, মাঠজুড়ে দুলছে সোনালি ধান। অধিকাংশ জমির ধান এখন পেকে গেছে। দিনের বেলা প্রখর রোদের তাপ থাকায় রাতের বেলা চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা।
ধানচাষিরা জানান, সারাদেশে চলছে তীব্র দাবদাহ। এর প্রভাব পড়েছে শরীয়তপুরে ধানচাষিদের মাঝেও। অধিকাংশ জমিতে গত একসপ্তাহ ধরে জেলার বোরোধান পাকা শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত গরমে দিনের বেলা হিটস্ট্রোকসহ বিভিন্ন অসুস্থতার ভয়ে ধান কাটতে পারছেন না চাষিরা। তাই রাতের বেলায় চাঁদের আলোয় ধান কাটতে দেখা গেছে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চর কাশাভোগ এলাকার ধানচাষিদের। এই অতিরিক্ত গরমে শ্রমিক না পেয়ে নিজেরাই নিজেদের জমির ধান কাটছেন। যতদিন চাঁদের আলো থাকবে, ততদিন এই ধান কাটবেন বলছেন তারা। জেলা কৃষিবিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৫ হাজার ৫২৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। যার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৬২৭ মেট্রিক টন। আর গত বছর জেলায় বোরোধানের আবাদ হয়েছিল ২৫ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ১৫ হাজার ৯০৬ মেট্রিক টন। গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরো ধানের উৎপাদন বেড়েছে এক হাজার ৭২১ মেট্রিক টন। তবে চলতি বছরে একটানা চলা তীব্র দাবদাহে ধানের উৎপাদনে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে ধারণা কৃষি বিভাগের। চাষি মিজান শিকদার বলেন, ৮০ শতাংশ জমিতে আমি বোরো ধানের চাষ করেছি।