ঈশ্বরদীতে দ্রুত নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর

পানীর তীব্র সংকট

প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

ঈশ্বরদী এলাকায় পানির স্তর ক্রমশ নিচে নামছে। প্রতি বছর চৈত্রের খরতাপ শুরুর আগেই পানির সংকট শুরু হতে থাকে। তীব্র খরা পরিস্থিতিতে চৈত্র মাসেই পানির স্তর ৩৫ ফুটেরও বেশি নিচে নেমে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও পৌর এলাকায় নলকূপে পানি উঠছে না। উঁচু এলাকাগুলোতে সংকট ভয়াবহ।

ঈশ্বরদীসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, চলমান মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খরায় ঈশ্বরদীতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে নেমে গেছে। সুপেয় পানির জন্য হাহাকার সর্বত্র। বৈশাখের শুরু থেকেই প্রচণ্ড গরমে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। গোসলসহ খাবার ও রান্নাবান্নার পানিরও সংকট দেখা দিয়েছে।

পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পৌরসভার সরবরাহ করা পানির লাইনেও ঠিকমতো পানি আসছে না। লাইনে পানি থাকলেও প্রবাহ দুর্বল হওয়ায় বাসাবাড়ির ট্যাংকিতে পানি সংরক্ষণে সমস্যা হচ্ছে। পৌর এলাকাসহ উপজেলাজুড়ে পানির জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি নিয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ির পুরুষ সদস্যরা আশপাশের পুকুর কিংবা অন্য কোথাও গোসল সেরে বাড়ির জন্য বালতি ও কলস ভরে পানি সংগ্রহ করে আনছেন। খাবার ও রান্নার কাজের জন্য পানি সংগ্রহ করতে ছুটতে হচ্ছে আশপাশের গভীর নলকূপ কিংবা সাবমার্সিবল পাম্প আছে সেখানে।

দিয়াড় বাঘইল এলাকায় সানাউল ইসলাম জানান, রূপপুর এলাকার কোনো টিউবওয়েল থেকে পানি উঠছে না। পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর কামাল আশরাফি জানান, ফতেহ মোহাম্মদপুর, নিউ কলোনি, তিনতলা এলাকার মানুষ স্থানীয় মসজিদের সাবমার্সিবল পাম্প থেকে প্রতিদিন দুইবার করে লাইন ধরে পানি সংগ্রহ করছেন। বস্তিপাড়া এলাকার সুদেব সরকার বলেন, বাড়ির নলকূপে পানি উঠছে না। বাধ্য হয়ে কাঠফাটা রোদের মধ্যে কলস ও বালতি নিয়ে মসজিদের সামনে লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে।

জানা গেছে, পৌর এলাকায় পানি সরবরাহের জন্য ১১টি পাম্প রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি পাম্প চালিয়ে পানি সরবরাহ করা হয়। চারটি পাম্প ব্যাকআপ হিসেবে রয়েছে। তবে পানির চাপ কম থাকায় পাইপে স্বাভাবিক গতিতে পানি সরবরাহ হচ্ছে না। পৌরসভার পানি শাখার সহকারী প্রকৌশলী প্রবীর বিশ্বাস বলেন, চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে পানির স্তর ৩৫ ফুট নিচে নেমে গেছে। কোনো কোনো এলাকায় এখন আরো বেশি। ২৫ ফুটের নিচে নামলে কোনো কোনো এলাকায় টিউবওয়েলে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে যায়।