নওগাঁয় শুরু হয়েছে ইরি বোরো ধান কাটা-মাড়াই
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আব্বাস আলী, নওগাঁ
নওগাঁর মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। প্রায় ৩ মাস কঠোর পরিশ্রম ও পরিচর্চার পর ঘরে তোলার অপেক্ষা। মাঠে কাঁচা-পাকা ধানের শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। এরইমধ্যে মধ্যে শুরু হয়েছে ইরি-বোরো ধান কাটা-মাড়াই। তীব্র দাবদাহ ও ভ্যাপসা গরমের মধ্যে ধান কাটার কাজ করছেন শ্রমিক ও চাষিরা। কাজ করতে গিয়ে তারা হাঁপিয়ে পড়ছেন। জমিতে ঠিকমতো সেচ দিতে না পারায় বিঘাপ্রতি ৩-৪ মণ ফলন কম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে সুষ্ঠুভাবে ধান ঘরে তোলার আশা কৃষকদের। সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ দিঘলীর মাঠে কাঁচা-পাকা ধানের শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। পেকে যাওয়া ধান কাটার কাজ করছেন শ্রমিকরা। তবে আর কয়েকদিন পর কাটা-মাড়াইয়ে ভর মৌসুম শুরু হবে। তীব্র দাবদাহ ও ভ্যাপসা গরমের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে পড়ছেন শ্রমিক ও চাষিরা। তাই কাজ রেখে কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম নিতে হচ্ছে তাদের। সঙ্গে স্বস্তি পেতে বেশি বেশি পানি পান করতে হচ্ছে তাদের। সদর উপজেলার চকচাপাই গ্রামের কৃষক সামছুর রহমান। দিঘলীর মাঠে তিন বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিবিঘা জমি চাষাবাদে ১৬০০ টাকা, ধানের চারা রোপণে শ্রমিক খরচ ২ হাজার টাকা, সার ২ হাজার ৫০০ টাকা, পানি সেচ ২ হাজার ৫০০ টাকা, কীটনাশক ৭০০ টাকাসহ অন্তত ১০ হাজার টাকা। এছাড়া কাটা-মাড়াই ও পরিবহণ খরচ আরো প্রায় ৫ হাজার টাকা। প্রতিবিঘায় আবাদ করতে খরচ পড়ে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। যেখানে ফলন হয় ২২-২৬ মণ। প্রচণ্ড গরমে ধানে পোকার কিছুটা পোকার উপদ্রব হয়েছে। কীটনাশক দিয়েও কাজ হয়নি। এতে করে এক বিঘায় ২ মণের মতো ফলন কম পাওয়া যাবে। একই গ্রামে কৃষক জালাল হোসেন। এ বছর তিন বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। তিনি বলেন- জমিতে ধান কাটার কাজ শুরু হয়েছে। ধারদেনা করে ফসল করায় ধান ঘরে উঠানোর আগেই বাজারে বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করতে হবে সেই চিন্তায় আছি।