তিতাসে চালু হয়েছে পানির ঘণ্টাধ্বনি

প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার তিতাসে পানির ঘণ্টাধ্বনিতে তৃষ্ণা মেটালো শিক্ষার্থীরা। উপজেলা সদরে অবস্থিত জিনিয়াস ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যতিক্রমধর্মীভাবে এই পানির ঘণ্টাধ্বনি উদযাপন করেছে। পানি পানের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থীকে আধা লিটার করে সুপেয় পানির বোতল তুলে দেয়া হয়। কার্যক্রমটি সঠিকভাবে পালনের লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন উপজেলা প্রশাসন। জানা যায়, সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে রোববার থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শাখার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করে। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষার্থীরা যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে সেই জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে ‘পানির ঘন্টাধ্বনি’ নামে একটি পদক্ষেপ নেয়া হয়। এতে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহের প্রভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি ঘন্টায় একটি বিশেষ ঘণ্টাধ্বনি নিশ্চিত করবে এবং এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করবে। এদিকে, উক্ত বিষয়টি তদারকি করতে স্কুল চলাকালিন সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিক-উর-রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা পারভীন বানু, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আবদুস সালাম উপজেলার গাজীপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজী তারা মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাতৃছায়া স্কুল এন্ড কলেজ পরিদর্শন করেন।

জিনিয়াস ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রাক-প্রাথমিক শাখাটি বন্ধ রয়েছে। প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত গতকাল প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে প্রতি শিক্ষার্থীকে আমরা বাজারজাতকৃত মিনারেল ওয়াটারের আধা লিটারের বোতল সরবরাহ করেছি। ঘণ্টাধ্বনির পাশাপাশি তারা যখন ইচ্ছে সে পানি পান করতে পারছে। যতদিন দাবদাহ থাকবে ততদিন স্কুল কর্তৃপক্ষ এ কার্যক্রমটি অব্যাহত রাখবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হাসান বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক গতকাল থেকে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিদের্শনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে, বিশেষ করে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে পানির ঘণ্টাধ্বনি কার্যক্রমটি বাস্তবায়নের জন্য মনিটরিং করা হচ্ছে।