ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যবাহী বারুণী মেলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যবাহী বারুণী মেলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর তীরে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ভাদুঘরের বান্নি (বারুণী) মেলা। সকালে ভাদুঘর তিতাস পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই নদীর তীরে এসে জড়ো হয়েছেন হাজারো ভক্তপুণ্যার্থী। তারা তিথি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গঙ্গা স্নানে অংশগ্রহণ করেন। নদীর পবিত্র জলে গঙ্গা স্নানের মধ্য দিয়ে ভক্তরা নিজেদের পরিবারের পাশাপাশি দেশ জাতীর কল্যাণ কামনায় তারা বিশেষ প্রার্থনা করেছেন। গত শনিবার সকালে তিতাস নদীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গা স্নানের মধ্য নিয়ে এই বান্নি শুরু হয়। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের ১৪ তারিখ এ বান্নি অনুষ্ঠিত হয়। ঠিক কত বছর আগে এই বান্নির যাত্রা শুরু হয়েছে, তার সঠিক তথ্য কেউ জানাতে পারেননি। মূলত গঙ্গাস্নানকে কেন্দ্র করে তিতাস পাড়ে বসে এ বান্নি মেলা। মেলায় অংশ নেয়া ভক্ত ভক্তপূণ্যার্থীদের পাশাপাশি দোকানিরা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। বেঁচাকেনা ভালো হওয়ায় বেশ খুশি তারা। সুস্মিতা রানী দাস নামে এক ভক্ত জানান, নদীতে গঙ্গাস্নান করেছি নিজের জড়ো দেহের জানা অজানা পাপ মোচনের জন্য। গঙ্গাস্নান শেষে গঙ্গা মায়ের কাছে পরম করুণাময় ভগবানের কাছে নিজের পরিবার ও দেশের মানুষের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেছি।

মিষ্টি রানী নামে অপর ভক্ত জানায়, গঙ্গার পবিত্র জলে স্নান করার পর রোগশোগ মোচন হয়। এই বিশ্বাস থেকে গঙ্গাস্নানে অংশ নিয়েছি। ভগবান যেন সবার মঙ্গল করেন। মেলায় আসা বিজয় দাস বলেন, গঙ্গাস্নান করেছি। মেলা থেকে নারু, মন্ডা মিঠাই, তিল্লাই, খই, চিড়া কিনেছি। বাচ্চাদের জন্য খেলনাসামগ্রী ক্রয় করেছি, বেশ ভালো লেগেছে। এদিকে ঐতিহ্যবাহী এ গঙ্গাস্নানকে কেন্দ্র করে তিতাস নদীর তীর ঘেঁষে বসেছে লোকজ মেলা (বান্নি)। মেলায় নাগরদোলা, হরেক রকম বাহারি খাবার মুড়ি-চিড়া, মাঠা, তিল্লাই, বাতাসাসহ মাটির তৈরি বাহারি খেলনা দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত