গাইবান্ধায় জলকেলিতে মেতেছে তরুণ-তরুণী
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাঘট নদীর উপর স্থাপিত ভেড়ামারা ব্রিজ। এর নিচে সাদা পাথরের মাঝে প্রবহমান শীতল স্বচ্ছ জলরাশি। এরই মধ্যে নয়নাভিরাম দৃশ্যে জলকেলিতে মেতে উঠছে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত তরুণ-তরুণীরা। দেখা গেছে গাইবান্ধা শহর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত খোলাহাটি ইউনিয়নের ভেড়ামারা ব্রিজের নিচে ঘাঘট নদীতে। ভেড়ামারা রেলওয়ে ব্রিজের পাশেই গত কয়েক মাস আগে একটা সেতু নির্মাণ করা হয়। এখানে পাশাপাশি অবস্থিত দুটি সেতুকে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে প্রকৌশলীরা এখানে ছোট-বড় আকারের পাথর নদীতে ফেলে রাখে। বর্তমানে নদীর পানি অনেকটা শুকিয়ে যাওয়ায় পাথরগুলো দৃশ্যমান হয়ে সিলেটের জাফলংয়ের মতো একটি আবহ তৈরি হয়েছে। সমুদ্রসৈকতের সাদা পাথর দৃশ্যমান হওয়ায় এখানে এক অপরূপ পরিবেশ গড়ে ওঠাসহ পর্যটক স্থান রূপ পেয়েছে গাইবান্ধার ভ্রমণপিপাসুদের কাছে। সম্প্রতি ভেড়ামারা ওই ব্রিজে প্রতিদিন শতশত দর্শনার্থী সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ছুটে আসছে। বৈশাখের তীব্র দাবদাহে নদীর শান্ত, শীতল পানির ছোঁয়া নিতে মিনি জাফলং খ্যাত ভেড়ামারা ব্রিজের নিচে পানিতে নেমে উচ্ছ্বাসিত বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। ইতোমধ্যে এই স্থান নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই ভ্রমণপিপাসুসহ বিভিন্ন শিশু, বিভিন্ন বয়সি মানুষের। কেউ এই স্থানটিকে নাম দিয়েছেন গরিবের জাফলং, কেউ রোমান্টিক জাফলং, কেউ বা মিনি জাফলং। এই দৃশ্যটি বের হওয়ায় আনন্দিত তরুণ থেকে শুরু করে গাইবান্ধার বিভিন্ন বয়সি মানুষ। একদিকে তীব্র গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এই অবস্থা থেকে মানসিক প্রশান্তির খোঁজে গোসল করাসহ জলকেলির পাশাপাশি সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে শিশু, তরুণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সি মানুষ। এখানে গোসল করতে আসা আবু খায়ের নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা সিলেটের জাফলংয়ে যেতে পারছি না। এই স্থানটি গরিবের জাফলং নামে পরিচিত। তাই আমরা বন্ধুসহ এখানে গোসলের মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ করছি। অতিষ্ঠ গরম পড়েছে। গরম থেকে বাঁচতে শরীরকে ঠান্ডা করতে এখানে গোসল করতে এসেছি। তাছাড়া এই দৃশ্যটা সিলেটের জাফলংয়ের মতো। আমাদের অনেকের সিলেটে যাওয়া সম্ভব হয় না। সিলেটে যাওয়ার সাধ্য থাকলেও বাসা থেকে অভিভাবক যেতে দেয় না। একটা সুন্দর মনোরম পরিবেশ। এটা গরিবের জাফলং ও রোমান্টিক জাফলং বলে জানালেন সোহাগ নামের এক যুবক। খোলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মাসুম হক্কানী জানান, ভেড়ামারা ব্রিজের নিচে মিনি জাফলং সৃষ্টি হওয়ায় এটা একটি বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। এখানে প্রতিদিনই মানুষ গোসল করতে ও ঘুরতে আসে। তাদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য আমি আনসার সদস্য ও মেম্বারদের নির্দেশনা দিয়েছি।