ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তীব্র গরমে কদর বেড়েছে হাতপাখার

ব্যস্ত কারিগররা
তীব্র গরমে কদর বেড়েছে হাতপাখার

টানা কয়েকদিনের গরমে মানুষসহ সব ধরনের প্রাণীর নাবিশ্বাস হয়ে উঠেছে। বৈশাখের এমন রৌদ্র আবহাওয়ার সবকিছু থমকে গেছে তবুও জীবিকার টানে গরমকে উপেক্ষা করে মানুষকে কাজ করতে হচ্ছে। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা দুইটি গ্রাম বাররা ও নওগাঁ এলাকায় তীব্র গরমে গ্রাম দুটির মানুষরা তাল পাখা বাঁশের বানানো পাখা ও নানা রঙের কাপড় দিয়ে পাখা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। কারিগররা জানান গ্রাম দুটিতে শত বছর ধরে চলমান আছে এমন রেওয়াজ, বাংলার চৈত্র ও বৈশাখ মাস পাখা বিক্রির মূল সময়। মৌসুমে ২ গ্রাম মিলে অন্তত কয়েক লাখ হাতপাখা বিক্রি করে মানিকগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও দোকানে। মানিকগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে সাটুরিয়া উপজেলার দড়গ্রাম ও বালিয়াটি ইউনিয়ন অবস্থিত। এবং মানিকগঞ্জ জেলার পাশাপাশি উপজেলা ধামরাইয়ের রাবরাবন এলাকা রয়েছে এখানে পড়ায় পাখা ও অন্যান্য কাজে জড়িত রয়েছে দুই থেকে তিন শতাধিক ঘর। এখানে বছরের ছয় মাস ধরে হাত পাখা তৈরীর মৌসুম চলে শুরু হয় আশ্বিন মাস থেকে, ওই সময় থেকে তারা তাল পাতা ও বাঁশ সংগ্রহ করে এরপর শীত পেরিয়ে যাওয়ার পর যখন মাঠের কাজ শেষ হয় তখন থেকে পাখা তৈরিতে লেগে পড়েন তারা। এভাবে বর্ষার আগে পর্যন্ত চলে হাত পাখার তৈরির কাজ। এরশাদ আলী নামে এক যুবকের বাড়ির সামনে গাছের ছায়ায় তিনি ও তার বাবা-মা কাজ করছিলেন। এরশাদ আলী নিজে কারিগর একই সঙ্গে তাল পাখা ও বাঁশের বানানো পাখার পাইকারি ব্যবসা করেন তিনি। এরশাদ জানালেন মানিকগঞ্জ জেলা ছাড়িয়ে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে পাইকাররা আসে পাখা কিনতে তাদের কাছে নিয়মিত পাইকারি বিক্রি করে থাকি। এক এক মৌসুমে কমপক্ষে দুই লক্ষ পিস পকেট পাখা তৈরি করা হয় আর ডাটাপাখা আরো দুই থেকে তিন লক্ষ পিস তৈরি করা হয়। টাকার মূল্য এক একটা ঘরে প্রতি সিজনে অন্তত পাঁচ লাখ টাকা আয় করে এখানে অর্ধেক খরচ বাকিটা লাভ। গ্রামের গোরা পতনের ইতিহাস নিয়ে জানতে চাইলে প্রায় ৯০ বছর বয়সি আব্দুল গফুর বলেন, গল্প আর কি বলব বাপ-দাদা বানিয়েছে আমরাও বানাচ্ছি, আগে একটা পাখা বিক্রি হয়েছে দুই আনা চার আনা এখন একেকটা পাখা বিক্রি হচ্ছে ৫০/৬০ টাকা। এবং চার হাজার টাকা শত পাইকারি দর।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত