ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নওগাঁয় করলা চাষে লাভবান কৃষক

নওগাঁয় করলা চাষে লাভবান কৃষক

নওগাঁর বিভিন্ন মাঠে দেখা মিলছে করলা খেত। খরচ ও পরিশ্রম কম হওয়ায় গ্রীষ্মকালিন করলা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোগবালাইও কম হয়েছে। প্রতি কেজি করলা পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা। তবে তীব্র দাবদাহ ও খরায় কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে সবজি চাষিদের। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে এ বছর ১০০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালিন করলা চাষ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন উৎপানের আশা। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। সবুজের চাদরে মোড়ানো নওগাঁ সদর উপজেলার প্রতাবদহ গ্রামের মাঠ। সবুজ পাতার নিচে থোকায় থোকায় রয়েছে করলা। বিক্রির জন্য গৃহবধূদের নিয়ে করলা উঠানোর কাজ করছেন প্রতাবদহ গ্রামের চাষি কালাম হোসেন। তিনি গত ১০ বছর থেকে আড়াই বিঘা জমিতে করলা, টমেটো, লাউ ও মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির আবাদ করছেন। যা থেকে খরচ বাদে বছরে প্রায় আড়াই লাখ টাকা আয় করেন। করলা চাষি কালাম হোসেন বলেন- এ বছর ১২ কাঠা জমিতে দেশি জাতের করলা আবাদ করা হয়েছে। যেখানে জমি রোপণ থেকে শুরু করে উঠানো পর্যন্ত খরচ হবে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছি। করলাতে খরচ বাদে লাভ থাকবে অন্তত ৫০ হাজার টাকা। চাষিরা বলছেন- মাচায় করলা চাষে খরচ বেশি এবং উৎপাদনও কম হয়। তবে মাটিতে করলা চাষে খরচ কম ও উৎপাদন বেশি হয়। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় গাছে পোকার উপদ্রব কম হওয়ায় কীটনাশক কম স্প্রে করতে হচ্ছে। এতে বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে না চাষিদের। খরচ ও পরিশ্রম কম হওয়ায় গ্রীষ্মকালিন করলা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। প্রতি বিঘাতে খরচ হয় প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা। যা থেকে উৎপাদন হয় প্রায় দেড়শ’ মণ। খরচ বাদে লাভ থাকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা। মৌসুমের শুরুতে পাইকারিতে প্রতি কেজি করলা ৯০-১০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে করলার উৎপাদন বেশি হওয়ায় প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা। কৃষক আলেপ হোসেন বলেন- মৌসুমের শুরুতে সব ধরণের শাক-সবজির ফলন কম হওয়ায় দাম ভালো পাওয়া যায়। এতে চাষিদের মুখে থাকে আনন্দ ঝিলিক থাকে। তবে উৎপাদন বেশি হলে ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেটে দাম কমে আসায় লোকসানের আশঙ্কা থাকে। তারপর অন্যান্য ফসলের তুলনায় সবজি চাষ লাভজনক মনে হয়েছে। মালঞ্চি গ্রামের করলা চাষি আব্দুল হাকিম বলেন- ৯ কাঠা জমিতে ৫ হাজার টাকা খরচ করে করলা আবাদ করেছি। যা থেকে প্রায় ১৫ হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছি। আরো অন্তত ২০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হবে। মৌসুমের শুরুতে দাম ৯০-১০০ টাকা কেজি ছিল। দাম কিছুদিন আগে ১৫-২০ টাকা ছিল। বর্তমানে ৩৫-৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত