ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গৌরীপুর-হোমনা সড়কে যানজটের বিষফোঁড়া কড়িকান্দি বাজার

ফুটপাত দখলের মহোৎসব
গৌরীপুর-হোমনা সড়কে যানজটের বিষফোঁড়া কড়িকান্দি বাজার

কুমিল্লার গৌরীপুর-হোমনা সড়কের যানজটের বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে তিতাসের কড়িকান্দি বাজার। অস্থায়ী স্ট্যান্ড এবং ফুটপাত দখল করায় এ দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। বিষয়টি একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় উত্থাপন করা হলেও প্রয়োজনীয় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ফলে অবৈধ স্থাপনার দোকানীদের বিরুদ্ধে পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠছে। সরেজমিনে দেখা যায়, গৌরীপুর-হোমনা সড়কের কড়িকান্দি বাজারের উভয়পাশে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে ফলফলাদির ব্যবসা করে আসছে। এসব দোকনের সামনের দিকে ৫ থেকে ৭ ফুট দখল করে সামিয়ানা (তাঁবু) টানা আছে। দোকানের পাশাপাশি রাস্তা দখল করে সামিয়ানা টাঙ্গানো অংশে পণ্যের পশরা সাজানো হয়েছে। অনেক দোকানের সামনে মূল সড়কে দাঁড়িয়ে ক্রেতাদের পণ্য কিনতে হচ্ছে। বিশেষ করে রাস্তার দক্ষিণপাশে বন্দরামপুর, নয়াকান্দি সিএনজি ও অটোরিকশা স্ট্যান্ড, কড়িকান্দি বাজার অংশে কড়িকান্দি, রাজাপুর, চররাজাপুর, কাপাশকান্দি স্ট্যান্ড, পশ্চিমপাশে মজিদপুর, সাহাবৃদ্ধি, একলারামপুর, তেতুইয়ারামপুর স্ট্যান্ড, উত্তরপাশে উপজেলা পরিষদ, থানা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কলাকান্দি ও আলীরগাঁও স্ট্যান্ড থাকায় এখানে প্রতিদিন যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে এ সড়কে চলাচলকৃত কুমিল্লার মেঘনা, হোমনা, তিতাস, মুরাদনগর এবং বি.বাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। জিয়ারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আলী আশরাফ জানান, গত মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় উপজেলা পরিষদের দাপ্তরিক কাজ শেষ করে গৌরীপুর যাইতে ছিলাম। কড়িকান্দি বাজার স্টেশনে জনগণের চলাচলের রাস্তা দখল করে অস্থায়ী দোকানের সামিয়ানায় সিএনজিতে লেগে ছিদ্র হয়ে যায়। তখন দোকানের লোকজন এসে সিএনজির চাবি নিয়ে যায় এবং ড্রাইভারকে মারতে একাধিকবার তেড়ে আসে। আমি এর প্রতিবাদ করাতে তারা আমার উপরও চড়াও হয়। গৌরীপুর-হোমনা সড়কের সিএনজি চালক দেলোয়ার হোসেন ও আব্দুল মমিন জানান, পিচঢালা সড়ক থেকে নামা যায় না, যাত্রী নামাতে গিয়ে পেছনের গাড়িকে সাইড দিতে হয়, দোকানের সামনে একটু গাড়ি থামালে দোকানের লোকজন মারার জন্য তেড়ে আসে। যাত্রী হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকা শাহজালাল ও ফয়সাল আহমেদ বলেন, জনগণের রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণ করা বৈআইনি। প্রতিটি দোকানের মালিক তার নিজস্ব দোকানের পাশাপাশি দোকানের সামনের অংশ ভাড়া দিয়ে জনগণের চলাচলের ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। রাস্তা দখল করে থাকা দোকানের মালিক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সিএনজি চালক সিএনজি লাগিয়ে আমার তেলপালটি ছিদ্র করে ফেলেছে। বছরখানেক আগে জুয়েল মোল্লার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে জায়গাটি ভাড়া নিয়েছি। মো. জুয়েল মোল্লা বলেন, জায়গাটিতে আমি নিজেই ব্যবসা করছি। যদি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে আমি বিষয়টি দেখবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হাসান বলেন, আমি একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক মিটিংয়ে কড়িকান্দি বাজারের অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানের বিষয়টি আলোচনা করেছি। যারা দোকান দিয়েছে তাদের আমরা অনুরোধ করেছি দোকান সরিয়ে নিতে। না নিলে আমরা তাদের উচ্ছেদের ব্যবস্থা করব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত