খাদ্য বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন- গুদামে ধান ও চাল দিতে এসে কোনো কৃষক ও মিলমালিক যেন হয়রানি না হয়। চালের গুনগত মান ঠিক রেখে ভালো মানের চাল কিনতে হবে। গুদামে রাখা বস্তাগুলো কিছুদিন পর পর ওপর-নিচ করে রাখতে হবে। চাল যেন নষ্ট না হয়। মনে রাখতে হবে ডাক্তার ও নার্স এবং খাদ্য বিভাগে যারা চাকরি করেন বা ব্যবসা করেন যা একটি সেবামূলক চাকরি। সরকার বেতন দিলেও মনে করতে হবে সেবামূলক চাকরি। যা ঠিকাদারি, মিষ্টি বা ওষুদের দোকানে দেয়া হবে না। মোট কথা ঈমানের সঙ্গে কাজ করতে হবে। গতকাল দুপুরে বোরো সংগ্রহ অভিযান-২০২৪ উপলক্ষ্যে নওগাঁ সার্কিট হাউজে জেলার খাদ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের আয়োজনে এর আগে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মতবিনিময় করেন। বাজারদর নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন- স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় দাম যতই দেয়া হোক না কেন, মনে হবে আরেকটু দিলে ভালো হয়। গত বছরের তুলনায় এবছর ধান এবং চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। যা যৌক্তিক মুল্য বলে মনে হয়েছে। সিদ্ধ চাল ১ টাকা বাড়িয়ে ৪৫ টাকা, আতব চাল ১ টাকা বাড়িয়ে ৪৪ টাকা এবং ধানের দাম ৩২ টাকা করা হয়েছে। সাধন চন্দ্র মজুমদার আরো বলেন, চাল সরু ও চকচকে করতে পুষ্টির অংশ ছাঁটাই করে ফেলা হয়। এতে চাল চকচকে হলেও কার্বোহাইড্রেট ছাড়া কিছুই থাকে না। এছাড়া পরিমাণেও চাল কমে যায়। আগামী আমন মৌসুম থেকে পালিশ (ছাঁটাই) বিহীন চাল বাজারজাত করতে মিলারদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বাজারে পালিশবিহীন চাল থাকলে ভোক্তারা সেদিকে আকৃষ্ট হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো: গোলাম মওলা এর সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহুরুল ইসলাম খান ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভীর রহমান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার চকদারসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চালকল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।