সুন্দরবনের মুন্সীগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকায় অভিযানে গিয়ে শিকারি ও শিকারিকৃত হরিণ আটক না করে ৬০টি ফাঁদ উদ্ধার করেছেন টহলফাঁড়ি কর্তারা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের মুন্সীগঞ্জ টহলফাঁড়ি কর্মকর্তারা খবর পান যে একদল হরিণ শিকারি মুন্সীগঞ্জ টহলফাঁড়ির ঠিক সামনে হরিণ শিকারের ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার ও অবৈধভাবে মধু আহরণ করছে। এ খবর পেয়ে সিপিজি টিমসহ বন টহলফাঁড়ি কর্তা হুমায়ুন কবীর ও ফরেস্টগার্ড গুলশান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে যান। এ সময় দেখতে পান শিকারিদল শিকারকৃত হরিণ নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে এবং আগুন জেলে মধু আহরণ করছে। বনবিভাগকর্তারা দেখতে পেয়ে ও শিকারি দলটিকে আটক না করার অভিযোগ উঠেছে। বনবিভাগ কর্তারা ঘটনাস্থল থেকে ৬০টি হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার করেছে অথচ এখনও কোনো মামলা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মুন্সীগঞ্জ টহলফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকাবাসী জানান, বনকর্তা হুমায়ুন কবীর ও ফরেস্টগার্ড গুলশান সেখানে যোগদানের পর থেকে ওই এলাকা দিয়ে ব্যাপক হারে হরিণ শিকার বৃদ্ধি পেয়েছে। এব্যাপারে ফাঁড়িকর্তা হুমায়ুন কবীরের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফরেস্টগার্ড গুলশানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি এর সঙ্গে জড়িত নই। মাত্র ১৫ দিন হল যোগদান করেছি এখন সব এলাকাও চিনি না। এ ব্যাপারে কদমতলা বন অফিসের কর্মকর্তা ফজলুল হকের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ফাঁদ উদ্ধারের বিষয়টি শুনেছি, মামলা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম, কে, এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি রিসিভি করেনি।