গাইবান্ধায় শসার দাম কম আবাদ বেশি
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
গাইবান্ধার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে নজর কারছে শসা খেত। গাঢ় সবুজে ঘেরা এসব খেত থেকে এরইমধ্যে ফসল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন কম। তবে প্রান্তিক কৃষকরা জানিয়েছেন আবাদ বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় দাম কম পাচ্ছেন। গতকাল গাইবান্ধার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বকশিগঞ্জ এলাকায় দেখা যায় কৃষকদের শসা বিক্রির ব্যস্ততা। এসময় ব্যাপারীরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে শসা কিনে তা পাঠাচ্ছিলেন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে সাদুল্লাপুর, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় শসার আবাদ বেশি রয়েছে। চলতি খরিপ-১ মৌসুমে জেলায় কত হেক্টর শসা আবাদ হয়েছে এই তথ্য নেই কৃষি বিভাগে।
জানা যায়, কৃষিনির্ভশীল জেলা গাইবান্ধায় বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি অধিক পরিমাণ জমিতে কৃষকরা চাষ করছে শসা। এ খেতের জাঙ্গিলায় ঝুলছে কৃষকের স্বপ্ন। আর স্বপ্নের এই শসা ফসল তুলে বিক্রি করছে তারা। এদিকে, কৃষকরা জানিয়েছে—- বছরে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে শসা আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ। প্রতিকেজি শসা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা দামে। তবে গত বছরের এই সময়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হত। এ বছর বেশি জমিতে শসার আবাদ হওয়ায় উৎপাদন বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। যার কারণে দাম কম হলেও তবুও লাভ থাকছে কৃষকদের। পুষ্টিগুণ সম্মৃদ্ধ এ শসা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ছাইদার রহমান নামের এক কৃষক জানান, এ বছরে এক বিঘা জমিতে শসা আবাদ করেছেন। প্রায় ১০০ মণ ফলন পাওয়া যাবে। এতে খরচ হয় ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। অনায়াসে এটি লাভজনক ফসল। আরেক কৃষক লাভলু প্রধান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার এই এলাকায় শসার আবাদ দিগুণ বেড়েছে। তবে ফলন হচ্ছে কম। আর গত বছরে এই সময় প্রতিমণ শসা ২ হাজার টাকা বিক্রি হত। বর্তমানে শসা ৬০০ থেকে ৬৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তারপরও থাকছে লাভ। সম্প্রতি তীব্র দাবদাহের কারণে শসার চাহিদা রয়েছে অনেকটা। তা না হলে ১০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হত। পাইকারি ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে ৬০০ থেকে ৬৪০ টাকা মণ দামে শসা কেনা হচ্ছে। এসব শসা ট্রাক লোড দিয়ে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় পাঠানো হচ্ছে। গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ খোরশেদ আলম জানান, খরিপ-১ মৌসুমের হিসাব নিরূপণ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে এ ফসল বিক্রিও করতে শুরু করেছে কৃষক। তাদের লাভবান করতে প্রণোদনা দেওয়াসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।